ডিভোর্স লেটার ফরমেট

 ডিভোর্স লেটার ফরমেট


বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ (ডিভোর্স লেটার) পাঠানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট (Format) বা কাঠামো অনুসরণ করা হয়। নিচে তালাকের নোটিশের একটি সাধারণ কাঠামো দেওয়া হলো।

মনে রাখবেন, এটি শুধুমাত্র একটি নমুনা। আইনি জটিলতা এড়াতে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশটি তৈরি ও প্রেরণ করা উচিত।


তালাকের নোটিশের সাধারণ ফরম্যাট (নমুনা)

এখানে নোটিশটি যিনি পাঠাচ্ছেন (তালাকদাতা) এবং যাকে পাঠানো হচ্ছে (বিপরীত পক্ষ) সেই অনুযায়ী শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

১. নোটিশের শিরোনাম ও প্রেরকের তথ্য

আইনি নোটিশ
তালাকদাতার নাম:[স্বামীর/স্ত্রীর সম্পূর্ণ নাম]
পিতা/স্বামীর নাম:[পিতা/স্বামীর নাম]
ঠিকানা:[পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা—সিটি কর্পোরেশন/ইউপি/পৌরসভার অধীন]
মোবাইল নম্বর:[যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর]
তালাক দেওয়ার তারিখ:[যেই তারিখে নোটিশটি স্বাক্ষরিত/পাঠানো হচ্ছে]

২. নোটিশ প্রাপকের তথ্য

প্রাপক-১ (বিপরীত পক্ষ)প্রাপক-২ (আইনি কর্তৃপক্ষ)
প্রাপকের নাম: [স্বামীর/স্ত্রীর সম্পূর্ণ নাম]বরাবর,
পিতা/স্বামীর নাম: [পিতা/স্বামীর নাম]মেয়র/চেয়ারম্যান (সালিশি পরিষদ)
ঠিকানা: [পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা—যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে][সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদের নাম ও ঠিকানা]

৩. মূল বক্তব্য (বিষয়বস্তু)

বিষয়: মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত তালাক কার্যকর করার জন্য নোটিশ প্রেরণ প্রসঙ্গে।

মহোদয়/মহোদয়া,

আমি [তালাকদাতার নাম], [পিতা/স্বামীর নাম], সাং [ঠিকানা] এই মর্মে আপনাকে/আপনাকে ও সালিশি পরিষদকে জানাচ্ছি যে:

১. আপনার/আমার সাথে [বিপরীত পক্ষের নাম] এর সহিত [বিয়ের তারিখ] তারিখে মুসলিম আইন ও শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং উক্ত বিবাহ [বিয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর] দ্বারা রেজিস্ট্রিকৃত আছে/নেই।

২. বিবাহের পর আমরা সুখে-শান্তিতে সংসার করার চেষ্টা করি/করছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিগত [তারিখ/সময়কাল] তারিখ হইতে আপনি/আমি [তালাকের সুনির্দিষ্ট কারণগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করুন, যেমন: বনিবনার অভাব, মানসিক নির্যাতন, পারিবারিক কলহ, ইত্যাদি] কারণে আমার/আপনার সাথে একত্রে বসবাস করা অসম্ভব করে তুলেছেন/তুলেছি।

৩. আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একসাথে বসবাস করা আর সম্ভব নয় এবং এই সম্পর্ককে আর কোনোভাবেই জোড়া লাগানো সম্ভব নয়।

৪. এমতাবস্থায়, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (The Muslim Family Laws Ordinance, 1961)-এর ধারা ৭(১) ও ৭(২) অনুযায়ী, আমি [তালাকদাতার নাম], অদ্য [তালাক দেওয়ার তারিখ] তারিখে আপনাকে/আপনাকে তালাক প্রদান করিলাম।


৪. আইনি ঘোষণা ও অনুরোধ

অতএব, এই নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত তালাক কার্যকর হবে।

আপনাকে/আপনাকে ও সালিশি পরিষদকে অনুরোধ করা হলো যে, উক্ত তালাকের বিষয়টি নথিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।


৫. স্বাক্ষর

ইতি,
স্বাক্ষর[তালাকদাতার স্বাক্ষর]
তালাকদাতার নাম[স্বাক্ষরের নিচে স্পষ্ট করে নাম]

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • নোটিশটি অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রাপ্তিস্বীকার রসিদ (A/D) সহকারে প্রেরণ করতে হবে।

  • নোটিশের ভাষা আইনি এবং স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।

  • তালাকের নোটিশ দেওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে আপস না হলে এবং নোটিশ প্রত্যাহার না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ (ডিভোর্স লেটার) পাঠানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ফরম্যাট নেই। তবে, আইনগতভাবে কার্যকর হওয়ার জন্য নোটিশে কিছু বাধ্যতামূলক তথ্য উল্লেখ করতে হয়।

সাধারণত, একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রস্তুত করা একটি নোটিশের কাঠামো নিচে দেওয়া হলো। এটি কেবলই একটি উদাহরণ বা ফরম্যাট; আইনগত বাধ্যবাধকতা এড়াতে সবসময় একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।


ডিভোর্স লেটারের সাধারণ ফরম্যাট (নমুনা)

[১] শিরোনাম ও তারিখ

তারিখ:
তারিখ,মাস,বছর
(যেদিন নোটিশটি পাঠানো হচ্ছে)
বরাবরমেয়র / চেয়ারম্যান /
সংশ্লিষ্টওয়ার্ডকাউন্সিলরেরনামওপদবি,যদিথাকে
সিটিকর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়নপরিষদেরনাম
ঠিকানা
এবং
বিপরীতপক্ষেরসম্পূর্ণনাম
পিতারনাম
বর্তমানঠিকানা

[২] বিষয়

বিষয়: মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৭ ধারা অনুযায়ী তালাকের নোটিশ প্রদান প্রসঙ্গে।

[৩] মূল বক্তব্য (তালাকের ঘোষণা)

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী

তালাকদাতারসম্পূর্ণনাম

, পিতা/স্বামী:

পিতার/স্বামীরনাম

, বর্তমান ঠিকানা:

বর্তমানঠিকানা

, জন্ম তারিখ:

জন্মতারিখ

, ধর্ম: ইসলাম; আপনার মাধ্যমে

বিপরীতপক্ষেরনাম

-কে নিম্নোক্ত কারণে তালাকের নোটিশ প্রদান করছি:

১. আমার এবং

বিপরীতপক্ষেরনাম

-এর মধ্যে গত

বিয়েরতারিখ

তারিখে

বিবাহেরস্থান

-এ মুসলিম শরিয়ত ও আইন অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং উক্ত বিবাহের মাধ্যমে আমাদের

সন্তানেরসংখ্যা

জন সন্তান জন্মগ্রহণ করে/কোনো সন্তান নেই।

২. বিবাহের পর থেকেই স্বামী/স্ত্রী হিসেবে আমাদের দাম্পত্য জীবনে নানা ধরনের মতানৈক্য, মনোমালিন্য এবং ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে থাকে, যা দীর্ঘদিনেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

৩. আমাদের মধ্যে

৪. ফলস্বরূপ, আমাদের দাম্পত্য জীবন সম্পূর্ণভাবে অশান্তিপূর্ণ, অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের উভয়ের পক্ষেই একত্রে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং এই সম্পর্ক কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

৫. অতএব, উল্লিখিত কারণ ও পরিস্থিতিতে, আমি

তালাকদাতারনাম

অত্র নোটিশের মাধ্যমে

বিপরীতপক্ষেরনাম

-কে চূড়ান্ত ও কার্যকর তালাক (তালাকে বাইন) প্রদান করছি।

৬. আপনি মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি রেকর্ডভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

[৪] অনুলিপি

অনুলিপি প্রেরিত:

১.

বিপরীতপক্ষেরনামওঠিকানা

[৫] তালাকদাতার স্বাক্ষর

নিবেদক,

তালাকদাতারস্বাক্ষর
তালাকদাতারপূর্ণনাম
জাতীয়পরিচয়পত্র/পাসপোর্টনম্বর
ফোননম্বর

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

  • এই নোটিশটি অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রাপ্তিস্বীকার (A/D) রসিদ সহকারে পাঠাতে হবে।

  • নোটিশ প্রেরণের তারিখ থেকে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে, যদি না এর মধ্যে সালিশি পরিষদে আপস হয় বা নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।

  • আইনগত জটিলতা এড়াতে এবং সঠিক কারণগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ প্রস্তুত করা বাঞ্ছনীয়।

আপনার কি নোটিশ পাঠানোর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও কিছু জানার আছে?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন