ব্যবস্থাপনার জনক কে উত্তর

 ব্যবস্থাপনার জনক কে উত্তর


ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে সাধারণত হেনরি ফেয়ল (Henri Fayol)-কে বিবেচনা করা হয়।

ফরাসি এই প্রকৌশলী এবং খনি ব্যবস্থাপক ১৯১৬ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ "অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্ডাস্ট্রিয়েল এ জেনার‍্যাল (Administration Industrielle et Générale)" প্রকাশ করেন। এই বইটিতে তিনি ব্যবস্থাপনার ১৪টি মূলনীতি এবং ৫টি প্রধান কার্যাবলীর (পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশ, সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রণ) বর্ণনা দেন, যা আধুনিক ব্যবস্থাপনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


হেনরি ফেয়লের মূল অবদান:

  • ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী: তিনি প্রথম ব্যবস্থাপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাজের সেট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন। তার মতে, ব্যবস্থাপনার প্রধান কাজগুলো হলো:

    1. পরিকল্পনা (Planning): ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ।

    2. সংগঠন (Organizing): কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও কাঠামো তৈরি।

    3. নির্দেশ (Commanding): কর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া।

    4. সমন্বয় (Coordinating): বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন।

    5. নিয়ন্ত্রণ (Controlling): লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।

  • ব্যবস্থাপনার ১৪টি নীতি: ফেয়ল কিছু সাধারণ নীতি প্রণয়ন করেন যা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযোজ্য। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো:

    • শ্রম বিভাজন (Division of Work)।

    • কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব (Authority and Responsibility)।

    • শৃঙ্খলা (Discipline)।

    • আদেশের ঐক্য (Unity of Command)।

ফেয়লের এই তত্ত্বগুলো একটি সামগ্রিক ও কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যা শুধু নির্দিষ্ট কাজের জন্য নয় বরং পুরো প্রতিষ্ঠানের জন্যই কার্যকর। এ কারণে তাকে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।

ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে সাধারণত হেনরি ফেয়ল (Henri Fayol)-কে বিবেচনা করা হয়।

ফরাসি এই প্রকৌশলী এবং খনি ব্যবস্থাপক ১৯১৬ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ "অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্ডাস্ট্রিয়েল এ জেনার‍্যাল (Administration Industrielle et Générale)" প্রকাশ করেন। এই বইটিতে তিনি ব্যবস্থাপনার ১৪টি মূলনীতি এবং ৫টি প্রধান কার্যাবলীর (পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশ, সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রণ) বর্ণনা দেন, যা আধুনিক ব্যবস্থাপনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে ফেয়লের অবদান

  • ব্যবস্থাপনাকে একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা: তার আগে ব্যবস্থাপনা একটি সুনির্দিষ্ট পেশা হিসেবে বিবেচিত ছিল না। ফেয়ল প্রথম এটি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা করেন এবং এর নীতিগুলো তুলে ধরেন।

  • ১৪টি মূলনীতি: তিনি ব্যবস্থাপনার জন্য ১৪টি সর্বজনীন নীতি প্রণয়ন করেন, যেমন: কাজের বিভাজন (Division of Work), কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব (Authority and Responsibility), শৃঙ্খলা (Discipline), ইত্যাদি। এই নীতিগুলো আজও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।

  • প্রশাসনিক তত্ত্বের প্রবর্তন: ফেয়ল ব্যবস্থাপনার প্রশাসনিক দিকগুলোর ওপর জোর দেন, যা একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

যদিও ফেডরিক উইন্সলো টেইলর-কে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে ধরা হয়, তবে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার একটি কাঠামোগত এবং সর্বজনীন ধারণা দেওয়ার জন্য হেনরি ফেয়ল-ই সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন