রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে উত্তর
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হলেন অ্যারিস্টটল (Aristotle)।
তিনি প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এবং বিজ্ঞানী। তার বিখ্যাত গ্রন্থ "পলিটিক্স (Politics)"-এ তিনি বিভিন্ন ধরনের সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর গভীর বিশ্লেষণ করেন। তিনি প্রায় ১৫৮টি দেশের সংবিধান অধ্যয়ন করেন এবং সেগুলোর তুলনামূলক আলোচনা করেন। এই কাজের মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র অধ্যয়ন শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
অ্যারিস্টটলের মূল অবদান:
পর্যবেক্ষণভিত্তিক পদ্ধতি: তিনি রাজনীতি নিয়ে শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা করেননি, বরং বাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করেন।
সরকারের শ্রেণিবিন্যাস: তিনি সরকারগুলোকে তাদের সংখ্যা এবং উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিন্যাস করেন, যেমন: রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র, গণতন্ত্র ইত্যাদি। তার এই শ্রেণিবিন্যাস আজও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
রাষ্ট্রের লক্ষ্য: অ্যারিস্টটল বিশ্বাস করতেন যে রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত এবং সুখী জীবন নিশ্চিত করা।
অ্যারিস্টটলের এই অবদানগুলোর জন্যই তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হলেন অ্যারিস্টটল (Aristotle)।
প্রাচীন গ্রিক এই দার্শনিককে এই সম্মানের অধিকারী হিসেবে ধরা হয় কারণ তিনি প্রথম রাষ্ট্র এবং সরকার নিয়ে পদ্ধতিগত ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গবেষণা করেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ "পলিটিক্স (Politics)" কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি মৌলিক পাঠ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গ্রন্থে তিনি বিভিন্ন ধরনের সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, নাগরিকত্ব এবং ন্যায়বিচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
অ্যারিস্টটলকে কেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়?
পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ: তার আগে রাষ্ট্র নিয়ে দার্শনিকরা মূলত আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা নিয়ে কাজ করতেন। কিন্তু অ্যারিস্টটল বাস্তববাদী ছিলেন এবং তিনি ১৫০টিরও বেশি নগর-রাষ্ট্রের সংবিধান অধ্যয়ন করে তাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করেন। এই বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতিই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি শুধু 'আদর্শ রাষ্ট্র' কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেননি, বরং বাস্তবে বিদ্যমান বিভিন্ন রাষ্ট্রব্যবস্থা যেমন: রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র, গণতন্ত্র, ইত্যাদি নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং সেগুলোর সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন।
"পলিটিক্স" গ্রন্থ: এই গ্রন্থটিই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গবেষণাধর্মী কাজ হিসেবে ধরা হয়, যেখানে রাষ্ট্র, সরকার এবং নাগরিক জীবনের মূল দিকগুলো নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে।
অ্যারিস্টটলের এই কাজগুলোই আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে, যার কারণে তাকে এই শাস্ত্রের জনক বলা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন