সমাজবিজ্ঞানের জনক কে উত্তর
সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte)।
এই ফরাসি দার্শনিক ১৮শ শতকে প্রথম 'সমাজবিজ্ঞান' (Sociology) শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সমাজকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অধ্যয়নের ধারণা দেন এবং এটিকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। কোঁৎ মনে করতেন যে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতোই সমাজের নিয়ম-কানুন ও বিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা এবং যুক্তি দিয়ে বোঝা সম্ভব। তাঁর এই ধারণাই সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে।
সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte)।
ফরাসি এই দার্শনিক ১৮৩৮ সালে সর্বপ্রথম "Sociology" শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সমাজকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণের ওপর জোর দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো সমাজকেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের সাহায্যে বোঝা সম্ভব। তিনি মানব সমাজের বিবর্তনের তিনটি স্তর—ধর্মতাত্ত্বিক, অধিবিদ্যাগত এবং ইতিবাচক (বৈজ্ঞানিক)—-এর তত্ত্ব দিয়েছিলেন। তার এই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পদ্ধতিগত গবেষণার ধারণা সমাজবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র এবং নিয়মতান্ত্রিক বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
তবে, সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করা হয়, যেমন:
কার্ল মার্কস (Karl Marx): তিনি শ্রেণি সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে সমাজের ব্যাখ্যা দেন।
এমিল ডুর্খেইম (Émile Durkheim): তিনি সামাজিক সংহতি, শ্রম বিভাজন এবং সামাজিক তথ্যের (social facts) ওপর গবেষণা করেন।
ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber): তিনি সামাজিক ক্রিয়া (social action), ক্ষমতা এবং আমলাতন্ত্র নিয়ে গবেষণা করেন।
এঁদের সবাইকে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়, কিন্তু অগাস্ট কোঁৎ-কে এর মূল জনক হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সমাজবিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte)।
ফরাসি এই দার্শনিক ১৮৩৮ সালে সর্বপ্রথম "Sociology" শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সমাজকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণের ওপর জোর দেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো সমাজকেও সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের সাহায্যে অধ্যয়ন করা সম্ভব। তার এই চিন্তা থেকেই সমাজবিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে ওঠে।
অগাস্ট কোঁৎ-এর মূল অবদান:
সমাজবিজ্ঞানের নামকরণ: তিনিই প্রথম "Sociology" শব্দটি ব্যবহার করে মানব সমাজ অধ্যয়নের একটি নতুন শাখার সূচনা করেন।
ইতিবাচকতা বা পজিটিভিজম: তিনি বিজ্ঞানের পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে একটি ইতিবাচক বা পজিটিভ দর্শনের জন্ম দেন। এই দর্শন অনুযায়ী, শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানই নির্ভরযোগ্য।
জ্ঞানের তিনটি স্তরের সূত্র: কোঁৎ মানব সমাজের বৌদ্ধিক বিকাশের তিনটি স্তর চিহ্নিত করেন:
ধর্মতাত্ত্বিক স্তর (Theological Stage): যেখানে মানুষ সবকিছুর কারণ হিসেবে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে মনে করত।
অধিবিদ্যাগত স্তর (Metaphysical Stage): যেখানে বিমূর্ত ধারণা বা সত্তাকে কারণ হিসেবে ধরা হতো।
ইতিবাচক স্তর (Positive Stage): যেখানে মানুষ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির মাধ্যমে কারণ অনুসন্ধান করে।
কোঁৎ-এর এই ধারণাগুলো পরবর্তীতে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে এবং তার কাজ কার্ল মার্ক্স, এমিল ডুর্খেইম এবং ম্যাক্স ওয়েবারের মতো পরবর্তী সমাজবিজ্ঞানীদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন