ইতিহাসের জনক কে আবিষ্কার করে
ইতিহাসের জনক হলেন হেরোডোটাস (Herodotus)। তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে তিনি "Historia" শব্দটি ব্যবহার করেন, যার অর্থ হলো "অনুসন্ধান" বা "গবেষণা"। এই শব্দটি থেকেই পরবর্তীতে "History" বা "ইতিহাস" শব্দটি এসেছে।
হেরোডোটাসকে কেন "ইতিহাসের জনক" বলা হয়?
হেরোডোটাসকে এই উপাধি দেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
প্রথম পরিকল্পিত ইতিহাস রচনা: তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি অতীতের ঘটনাগুলোকে শুধু গল্প বা কিংবদন্তি হিসেবে না দেখে, বরং একটি সুশৃঙ্খল এবং অনুসন্ধানমূলক পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ "The Histories"-এ গ্রিকো-পার্সিয়ান যুদ্ধের কারণ, ঘটনা এবং ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
তথ্যের যাচাই-বাছাই: তিনি ঘটনার বিবরণ দেওয়ার আগে বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করতেন। যদিও তার কাজে কিছু কল্পিত বা পক্ষপাতদুষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়, তবুও তথ্যের উৎস যাচাই করার এই পদ্ধতিটি ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
কারণ ও কার্যকারিতার অনুসন্ধান: হেরোডোটাস শুধুমাত্র ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেননি, বরং কেন সেই ঘটনাগুলো ঘটেছে তার কারণ এবং প্রভাবগুলোও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। এটি তার কাজকে নিছক বর্ণনার ঊর্ধ্বে নিয়ে যায় এবং ইতিহাসকে একটি বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
হেরোডোটাসকে প্রথম "ইতিহাসের জনক" উপাধিটি দিয়েছিলেন রোমান বাগ্মী এবং দার্শনিক সিসারো (Cicero)।
হেরোডোটাসকে কেন ইতিহাসের জনক বলা হয়, সেই বিষয়ে এই ভিডিওটি সাহায্য করতে পারে। হেরোডোটাসকে কেন ইতিহাসের জনক বলা হয়
ইতিহাসের জনক বলা হয় প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস-কে।
প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪ সালে জন্মগ্রহণকারী এই পণ্ডিতকে 'ইতিহাসের জনক' হিসেবে আখ্যায়িত করেন রোমান বাগ্মী সিসেরো। হেরোডোটাস মূলত তার বিখ্যাত গ্রন্থ "দ্য হিস্টোরিস" (The Histories)-এর জন্য পরিচিত। এই বইটিতে তিনি গ্রিকো-পার্সিয়ান যুদ্ধের (Greco-Persian Wars) বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন।
হেরোডোটাসকে কেন ইতিহাসের জনক বলা হয়?
তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান: তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি কোনো ঘটনার শুধু বর্ণনা না দিয়ে, তার কারণ এবং প্রেক্ষাপট অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে মানুষের সঙ্গে কথা বলে, প্রচলিত কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই করতেন।
লিখিত বিবরণ: তার আগে মৌখিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে ঘটনা পরম্পরা সংরক্ষিত হতো। হেরোডোটাসই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই তথ্যগুলোকে সুসংগঠিতভাবে লিখিত আকারে প্রকাশ করেন।
ইতিহাসকে বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা: হেরোডোটাস ইতিহাসকে শুধুমাত্র গল্প বা কিংবদন্তি হিসেবে না দেখে একে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা এবং অনুসন্ধানের বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি 'Historia' শব্দটি ব্যবহার করেন, যার অর্থ 'অনুসন্ধান'।
যদিও তার কিছু লেখায় অতিরঞ্জন এবং কাল্পনিক কাহিনীর মিশ্রণ ছিল বলে অনেকে সমালোচনা করেন, তবুও তার পদ্ধতি এবং দৃষ্টিভঙ্গিই পরবর্তীতে আধুনিক ইতিহাস রচনার ভিত্তি স্থাপন করে।
ইতিহাসের জনক সম্পর্কে আরও জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। ইতিহাসের জনক কে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন