রমজান মাসে রাতে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম

 রমজান মাসে রাতে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম


রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম হলো: দিনের বেলা রোজা অবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং কঠোরভাবে গুনাহের কাজ, কিন্তু ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের শুরু) এর আগ পর্যন্ত সহবাস সম্পূর্ণ হালাল ও বৈধ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:

"সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ... অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান করো। আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত হয়। অতঃপর রোযা পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত।" (সূরা বাকারা: ১৮৭)

এই আয়াত অনুসারে রমজান মাসে সহবাসের সময়কাল ও বিধান নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. সহবাসের অনুমোদিত সময়

  • সময়কাল: ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের ওয়াক্ত শুরু) এর পূর্ব পর্যন্ত

  • করণীয়: এই সময়ের মধ্যে সহবাসের ইচ্ছা হলে অবশ্যই সাধারণ সহবাসের দু'আ (بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ...) পড়ে শুরু করতে হবে।

  • সমাপ্তি: সহবাসের কার্যক্রম সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার আগেই শেষ করতে হবে।

২. ফরজ গোসলের বিধান

যদি স্বামী-স্ত্রী সুবহে সাদিকের আগে সহবাস করেন:

  • সাহরি খাওয়া: গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় সাহরি খাওয়া বৈধ। তবে সাহরি খাওয়ার আগে অজু করে নেওয়া উত্তম।

  • রোজা: গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় রোজা রাখা শুদ্ধ ও জায়েয। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর একাধিক হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত।

  • নামাজ: তবে ফজর নামাযের সময় শুরু হওয়ার আগেই অবশ্যই ফরজ গোসল সম্পন্ন করে পবিত্র হতে হবে, অন্যথায় নামায ক্বাযা হয়ে যাবে, যা গুরুতর গুনাহ।

৩. দিনের বেলায় সহবাসের বিধান (নিষিদ্ধ)

রমজান মাসে রোজা অবস্থায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) সহবাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কেউ যদি রোজা অবস্থায় সহবাস করে তবে নিম্নোক্ত বিধানগুলো কার্যকর হবে:

  • ১. রোজা নষ্ট: রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

  • ২. গুনাহ: সে গুনাহগার হবে।

  • ৩. কাযা: সেদিনের রোজার কাযা (পরবর্তীতে একটি রোজা) রাখতে হবে।

  • ৪. কাফ্ফারা: তাকে কাফ্ফারাও দিতে হবে। কাফ্ফারা হলো: লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখা। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তবে ৬০ জন মিসকিনকে দু'বেলা খাবার খাওয়ানো।

  • ৫. দিনের অবশিষ্ট অংশ: রোজা নষ্ট হলেও দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরয।

৪. ইতেকাফকারীর জন্য বিশেষ বিধান

যারা রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফ করেন, তাদের জন্য দিনের বেলা তো বটেই, রাতের বেলাতেও স্ত্রীর সাথে সহবাস বা ঘনিষ্ঠ হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

আপনি যদি রোজা ও অন্যান্য আমল সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান, তবে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম হলো: দিনের বেলা রোজা অবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং কঠোরভাবে গুনাহের কাজ, কিন্তু ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের শুরু) এর আগ পর্যন্ত সহবাস সম্পূর্ণ হালাল ও বৈধ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:

"সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ... অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান করো। আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত হয়। অতঃপর রোযা পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত।" (সূরা বাকারা: ১৮৭)

এই আয়াত অনুসারে রমজান মাসে সহবাসের সময়কাল ও বিধান নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. সহবাসের অনুমোদিত সময়

  • সময়কাল: ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের ওয়াক্ত শুরু) এর পূর্ব পর্যন্ত

  • করণীয়: এই সময়ের মধ্যে সহবাসের ইচ্ছা হলে অবশ্যই সাধারণ সহবাসের দু'আ (بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ...) পড়ে শুরু করতে হবে।

  • সমাপ্তি: সহবাসের কার্যক্রম সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার আগেই শেষ করতে হবে।

২. ফরজ গোসলের বিধান

যদি স্বামী-স্ত্রী সুবহে সাদিকের আগে সহবাস করেন:

  • সাহরি খাওয়া: গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় সাহরি খাওয়া বৈধ। তবে সাহরি খাওয়ার আগে অজু করে নেওয়া উত্তম।

  • রোজা: গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় রোজা রাখা শুদ্ধ ও জায়েয। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর একাধিক হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত।

  • নামাজ: তবে ফজর নামাযের সময় শুরু হওয়ার আগেই অবশ্যই ফরজ গোসল সম্পন্ন করে পবিত্র হতে হবে, অন্যথায় নামায ক্বাযা হয়ে যাবে, যা গুরুতর গুনাহ।

৩. দিনের বেলায় সহবাসের বিধান (নিষিদ্ধ)

রমজান মাসে রোজা অবস্থায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) সহবাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কেউ যদি রোজা অবস্থায় সহবাস করে তবে নিম্নোক্ত বিধানগুলো কার্যকর হবে:

  • ১. রোজা নষ্ট: রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

  • ২. গুনাহ: সে গুনাহগার হবে।

  • ৩. কাযা: সেদিনের রোজার কাযা (পরবর্তীতে একটি রোজা) রাখতে হবে।

  • ৪. কাফ্ফারা: তাকে কাফ্ফারাও দিতে হবে। কাফ্ফারা হলো: লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখা। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তবে ৬০ জন মিসকিনকে দু'বেলা খাবার খাওয়ানো।

  • ৫. দিনের অবশিষ্ট অংশ: রোজা নষ্ট হলেও দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরয।

৪. ইতেকাফকারীর জন্য বিশেষ বিধান

যারা রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফ করেন, তাদের জন্য দিনের বেলা তো বটেই, রাতের বেলাতেও স্ত্রীর সাথে সহবাস বা ঘনিষ্ঠ হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

আপনি যদি রোজা ও অন্যান্য আমল সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান, তবে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন