স্ত্রী ছাড়া কারো সাথে সহবাস করা যায় কিনা

 স্ত্রী ছাড়া কারো সাথে সহবাস করা যায় কিনা


এটি একটি নৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই বিষয়টি বিভিন্ন নীতি এবং সমাজের কাঠামোর ওপর নির্ভর করে।

সাধারণত, ধর্মীয়, সামাজিক এবং আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে এর উত্তর হলো না

এখানে প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলো:


১. আইনি দৃষ্টিকোণ (Legal Standpoint)

যদি একজন ব্যক্তি বিবাহিত হন, তবে নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সাথে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে (Adultery বা ব্যভিচার) বাংলাদেশের আইনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো, যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে Penal Code-এর ৪৯৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে।

তবে এই ধরনের সম্পর্ক এখনও বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি পারিবারিক আদালত দ্বারা নিন্দিত। বিবাহিত জীবনে এটি বিশ্বাসভঙ্গের গুরুতর লঙ্ঘন।


২. ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ (Religious and Moral Standpoint)

  • ইসলাম ধর্মে: বিবাহ বহির্ভূত যেকোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক (যিনা - Zina) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (হারাম) এবং একে গুরুতর পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।

  • হিন্দু ধর্মে: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে পাপ (Pap) হিসেবে দেখা হয় এবং এটি কঠোরভাবে পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া আছে।

বেশিরভাগ প্রধান ধর্মেই বিবাহকে যৌন সম্পর্কের একমাত্র বৈধ ও নৈতিক ভিত্তি হিসেবে দেখা হয়।


৩. সামাজিক দৃষ্টিকোণ (Social Standpoint)

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ার মতো সমাজে, বিবাহিত বা অবিবাহিত উভয় ক্ষেত্রেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extramarital or Pre-marital relationship) সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি পরিবার ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে তীব্র কলঙ্ক এবং বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে।

সংক্ষেপে, একজন বিবাহিত পুরুষের জন্য তাঁর স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সাথে সহবাস করা প্রচলিত আইন, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী অননুমোদিত এবং অনৈতিক কাজ।

এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রশ্ন, এবং এর উত্তর বিভিন্ন নৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও আইনি প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে।

সাধারণত, সামাজিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে, স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সাথে সহবাস করাকে নিম্নলিখিত কারণে অগ্রহণযোগ্য বা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়:

১. ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি (Religious Perspective)

বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলামে বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সম্পর্ককে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • ইসলামে এটিকে যিনা (Zina) বলা হয় এবং এটি একটি গুরুতর পাপ হিসেবে গণ্য। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, সহবাস শুধুমাত্র বৈধ বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গেই অনুমোদিত।

২. সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি (Social and Moral Perspective)

  • অনৈতিকতা: প্রায় সকল সমাজে এবং নৈতিক কাঠামোতে, বিবাহিত অবস্থায় জীবনসঙ্গী ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অনৈতিক (Unethical) এবং অবিশ্বাস বা প্রতারণা (Betrayal) হিসেবে দেখা হয়।

  • সম্পর্কের ক্ষতি: এটি সরাসরি পারিবারিক সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করে।

৩. আইনি দৃষ্টিভঙ্গি (Legal Perspective)

  • যদিও প্রতিটি দেশের আইন ভিন্ন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা ব্যভিচার (Adultery) সাধারণত বিবাহবিচ্ছেদের প্রধান কারণ হিসেবে গণ্য হয়। কিছু দেশে এটি আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।

সারসংক্ষেপে, আপনার প্রশ্নটির উত্তরে বলা যায়— নৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে সহবাস করাকে অনুমোদন করা হয় না এবং এটিকে বিবাহিত সম্পর্কের প্রতি প্রতারণা হিসেবে দেখা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন