পর্ণগ্রাফির আবিষ্কারক কে ছিলেন

 পর্ণগ্রাফির আবিষ্কারক কে ছিলেন


পর্নোগ্রাফি কোনো একজন ব্যক্তির একক আবিষ্কার নয়, বরং এটি মানব ইতিহাসের একটি দীর্ঘ বিবর্তনমূলক প্রক্রিয়া। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাই এর কোনো নির্দিষ্ট "আবিষ্কারক" নেই।

তবে, আধুনিক পর্নোগ্রাফির কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং এর সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তিত্বের নাম নিচে দেওয়া হলো:

  • প্রাচীন যুগ: প্রাচীন গ্রিস এবং রোমে যৌনতাকে কেন্দ্র করে অনেক শিল্পকর্ম, যেমন - মূর্তি, দেয়াল চিত্র এবং সাহিত্যকর্ম তৈরি হয়েছিল। এগুলোকে আজকের দিনের পর্নোগ্রাফির প্রাথমিক রূপ বলা যেতে পারে।

  • মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার: ১৪৫০-এর দশকে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারের পর পর্নোগ্রাফির ব্যাপক প্রসার ঘটে। এর ফলে ছাপানো বই এবং চিত্রের মাধ্যমে এটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়ে যায়।

  • ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্রের আগমন: ১৯শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ফটোগ্রাফির আবিষ্কার এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে চলচ্চিত্রের আগমনের ফলে পর্নোগ্রাফি একটি নতুন রূপ নেয়। এই সময়েই ভিডিও পর্নোগ্রাফির যাত্রা শুরু হয়। এর প্রথম দিকের কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং প্রযোজকদের মধ্যে আলবার্ট কির্চনার এবং ইউজিন পিরো-এর নাম উল্লেখ করা যায়।

  • আধুনিক পর্নোগ্রাফির জনক: ইতালীয় লেখক পিয়ত্রো আরেতিনো (Pietro Aretino)-কে অনেকে আধুনিক পর্নোগ্রাফির জনক হিসেবে গণ্য করেন। তিনি ১৫২৭ সালে "ই পোর্ত্রেত্তি" নামে একটি সিরিজ প্রকাশ করেন, যা ছিল যৌনতাপূর্ণ চিত্রের সাথে লিখিত কবিতা।

সুতরাং, পর্নোগ্রাফির উৎস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই পুরনো এবং এটি কোনো একজন ব্যক্তির আবিষ্কার নয়। তবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে সাথে এর ধরন ও প্রচারের মাধ্যম পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এর বিকাশে ভূমিকা রেখেছে।

পর্নোগ্রাফি কোনো একজন ব্যক্তির একক আবিষ্কার নয়, বরং এটি মানব ইতিহাসের একটি দীর্ঘ বিবর্তনের ফসল। পর্নোগ্রাফির ইতিহাসকে একটি সুনির্দিষ্ট উৎস বা আবিষ্কারকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা কঠিন। কারণ, সময়ের সাথে সাথে এবং প্রযুক্তির উন্নতির সাথে এর ধরন ও মাধ্যম পরিবর্তিত হয়েছে।

তবে পর্নোগ্রাফির ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও ব্যক্তিত্বকে চিহ্নিত করা যায়:

  • প্রাচীন যুগ: প্রাচীন গ্রিস ও রোমান সভ্যতায় যৌনতা বিষয়ক শিল্পকর্ম, যেমন- মৃৎপাত্রে অঙ্কিত ছবি, ভাস্কর্য এবং সাহিত্যে এর ব্যাপক প্রচলন ছিল। এগুলোতে খোলামেলা যৌন দৃশ্য বা কামোত্তেজক বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলা হত।

  • মুদ্রণ শিল্পের যুগ: ১৫শ শতাব্দীর দিকে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের পর পর্নোগ্রাফিক সাহিত্য ও চিত্র ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই সময়ে ইতালীয় লেখক পিয়েত্রো আরেতিনো (Pietro Aretino)-কে আধুনিক পর্নোগ্রাফির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৫২৪ সালে মারকান্টনিও রাইমন্ডি-এর সাথে মিলে ১৬টি কামোত্তেজক চিত্র প্রকাশ করেন।

  • ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্রের যুগ: ১৯শ শতাব্দীতে ফটোগ্রাফি এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে চলচ্চিত্রের আবিষ্কার পর্নোগ্রাফির ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ১৯শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে প্রথম পর্নোগ্রাফিক ছবি তোলা হয় এবং ১৯শ শতাব্দীর শেষ দিকে প্রথম পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র তৈরি হয়। ১৯০৮ সালে ফ্রান্সে নির্মিত 'Le Coucher de la Mariée' (অর্থ: The Bride's Honeymoon Bed) নামক একটি শর্ট ফিল্মকে প্রথম দিকের পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়।

সুতরাং, পর্নোগ্রাফি কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার নয়, বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে এটি বিকশিত হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন