বিদ্যুতের আবিষ্কারক কে ছিলেন
বিদ্যুৎ কোনো একজন ব্যক্তির একক আবিষ্কার নয়, বরং এটি বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকের বহু শতাব্দীর গবেষণার ফসল। বিদ্যুতের ধারণা ও ব্যবহার বহু ধাপে বিকশিত হয়েছে।
তবে কিছু প্রধান আবিষ্কারকের নাম উল্লেখ করা যায়, যারা বিদ্যুতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন:
থ্যালেস অফ মিলেটাস (Thales of Miletus): খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে গ্রিক দার্শনিক থ্যালেস প্রথম স্থির বিদ্যুতের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে অ্যাম্বার (এক ধরনের গাছের আঠা) পশম দিয়ে ঘষলে তা হালকা জিনিস, যেমন- পাখির পালককে আকর্ষণ করে। যদিও তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি, এটিই ছিল বিদ্যুতের প্রথম পর্যবেক্ষণ।
উইলিয়াম গিলবার্ট (William Gilbert): ১৫৭০ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট স্থির বিদ্যুতের ওপর গবেষণা করে একটি বই লেখেন, যার নাম ছিল 'De Magnete'। এই বইয়ে তিনি প্রথমবার স্থির বিদ্যুৎ এবং চুম্বকত্বের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন। তিনিই প্রথম এই আকর্ষণকে বোঝানোর জন্য গ্রিক শব্দ 'ইলেকট্রন' (যার অর্থ অ্যাম্বার) থেকে 'ইলেকট্রিসিটি' শব্দটি ব্যবহার করেন।
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন (Benjamin Franklin): ১৭৫২ সালে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন তার বিখ্যাত ঘুড়ি ও চাবির পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করেন যে বজ্রপাত আসলে এক ধরনের বিদ্যুৎ। এই আবিষ্কার বিদ্যুৎকে একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে বুঝতে সাহায্য করে এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগের পথ খুলে দেয়।
আলেসান্দ্রো ভোল্টা (Alessandro Volta): ১৮০০ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টা প্রথম একটি রাসায়নিক ব্যাটারি, যা 'ভোল্টাইক পাইল' নামে পরিচিত, তৈরি করেন। এটি ছিল প্রথম যন্ত্র যা একটি অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করতে সক্ষম ছিল।
মাইকেল ফ্যারাডে (Michael Faraday): ১৮২০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ (Electromagnetic Induction) আবিষ্কার করেন। এই নীতির উপর ভিত্তি করে তিনি প্রথম ইলেকট্রিক জেনারেটর (ডাইনামো) তৈরি করেন, যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারত। ফ্যারাডেকে বিদ্যুতের জনক বলা হয়, কারণ তার আবিষ্কারই আধুনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল ভিত্তি।
থমাস এডিসন ও নিকোলা টেসলা: ১৯শ শতাব্দীর শেষ দিকে থমাস এডিসন এবং নিকোলা টেসলা আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এডিসন ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা তৈরি করেন এবং টেসলা অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC) ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন, যা বর্তমানে আমাদের বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিদ্যুতের আবিষ্কার কোনো একজন ব্যক্তির একক কাজ নয়। প্রাচীন পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা পর্যন্ত বহু বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এই বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎকে কোনো একজন ব্যক্তির একক আবিষ্কার বলা কঠিন, কারণ এটি প্রকৃতির একটি রূপ যা বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকের নিরলস প্রচেষ্টার ফল। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস অনেক পুরনো।
তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন দিক আবিষ্কারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করা যায়:
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক থেলিস (Thales of Miletus): খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে তিনি প্রথম স্থির বিদ্যুতের (Static Electricity) অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন। তিনি দেখতে পান যে অ্যাম্বার নামক এক ধরনের পাথরকে পশম দিয়ে ঘষা হলে তা ছোট ছোট বস্তু যেমন পালক বা চুলের টুকরাকে আকর্ষণ করে।
উইলিয়াম গিলবার্ট (William Gilbert): ১৬০০ সালে এই ইংরেজ চিকিৎসক ‘ইলেকট্রিকাস’ (electricus) শব্দটি ব্যবহার করেন, যা থেকে পরবর্তীতে ‘ইলেকট্রিসিটি’ (electricity) শব্দটির উৎপত্তি। তিনি চুম্বকত্ব ও স্থির বিদ্যুৎ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেন।
বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন (Benjamin Franklin): ১৭৫২ সালে এই আমেরিকান বিজ্ঞানী ঘুড়ি এবং চাবির মাধ্যমে তার বিখ্যাত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে বজ্রপাত আসলে বিদ্যুতেরই একটি রূপ। তার এই আবিষ্কার বিদ্যুতের প্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল।
মাইকেল ফ্যারাডে (Michael Faraday): ১৮২০-এর দশকে এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ (electromagnetic induction) নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা করেন। তার আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করেই আধুনিক জেনারেটর এবং বৈদ্যুতিক মোটরের মূল নীতি তৈরি হয়।
থমাস এডিসন (Thomas Edison) এবং নিকোলা টেসলা (Nikola Tesla): ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে এই দুই বিজ্ঞানী বিদ্যুৎকে ব্যবহারযোগ্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এডিসন ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) সিস্টেম নিয়ে কাজ করেন, অন্যদিকে টেসলা এসি (অল্টারনেটিং কারেন্ট) সিস্টেমকে উন্নত করেন, যা বর্তমানে আমাদের ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, বিদ্যুৎ "আবিষ্কৃত" হয়েছে ধীরে ধীরে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর অবদান এর পিছনে রয়েছে। তবে যদি বিদ্যুতের ব্যবহারিক প্রয়োগের কথা বলা হয়, তাহলে বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, মাইকেল ফ্যারাডে, টমাস এডিসন এবং নিকোলা টেসলার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন