ডিভোর্স পেপার রেডি করতে কি কি লাগে
ডিভোর্স বা তালাকের জন্য সাধারণত সুনির্দিষ্ট কোনো কাগজপত্র প্রথমে দরকার হয় না। তবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য কিছু তথ্য ও পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।
মূলত যা যা লাগে:
স্বামী এবং স্ত্রীর নাম ও ঠিকানা: তালাকের নোটিশ তৈরি এবং পাঠানোর জন্য উভয়ের সঠিক নাম ও ঠিকানা অপরিহার্য।
তালাকের নোটিশ: তালাক দেওয়ার জন্য তালাক প্রদানকারী পক্ষকে একটি লিখিত নোটিশ তৈরি করতে হয়।
এই নোটিশের একটি কপি অন্য পক্ষকে পাঠাতে হবে।
নোটিশের আরেকটি কপি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান/মেয়রকে পাঠাতে হবে।
নোটিশ পাঠানোর প্রমাণ: ডাকযোগে রেজিস্ট্রি করে অ্যাকনলেজমেন্ট ডিউসহ (AD) নোটিশ পাঠালে তার প্রমাণ সংরক্ষণ করা ভালো। সরাসরি পাঠালে নোটিশের কপিতে রিসিভ করে নেওয়া যায়।
কাবিননামা (বিবাহের দলিল): এটি যদিও তালাকের নোটিশ পাঠানোর জন্য সরাসরি বাধ্যতামূলক নয়, তবে প্রক্রিয়া শেষে তালাক নিবন্ধনের সময় এবং আইনি জটিলতা এড়াতে নিকাহনামা (কাবিননামা) প্রয়োজন হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, নোটিশ চেয়ারম্যান/মেয়রের কাছে পৌঁছানোর তারিখ থেকে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে, যদি এই সময়ের মধ্যে সালিসি পরিষদ গঠন করে কোনো সমঝোতার উদ্যোগ সফল না হয়।
তালাক কার্যকর হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কাজীর মাধ্যমে এটি নিবন্ধন করা আইনত বাধ্যতামূলক।
তালাক বা ডিভোর্স সংক্রান্ত যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
তালাক বা ডিভোর্স কিভাবে দিতে হয়-ডিভোর্স বা তালাকের আইনগত পদ্ধতি-Legal procedure for divorce in bd এই ভিডিওটি তালাকের আইনি পদ্ধতি সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।
ডিভোর্স বা তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র এবং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশে মুসলিম আইন অনুযায়ী তালাকের জন্য সাধারণত নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয়:
কাবিননামার ফটোকপি: এটি বিবাহের প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজন।
স্বামী ও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) অনুলিপি/ফটোকপি: পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য।
দুইজন পুরুষ সাক্ষীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (প্রয়োজন হতে পারে): তালাকের নোটিশ বা হলফনামা প্রস্তুতির জন্য।
১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (যদি আইনজীবীর মাধ্যমে হলফনামা তৈরি করা হয়)।
তালাকের নোটিশ (সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর লিখিতভাবে): এটি ডিভোর্স প্রক্রিয়া শুরু করার প্রধান ধাপ। নোটিশের একটি কপি স্বামী বা স্ত্রীকেও পাঠাতে হয়।
মনে রাখবেন, তালাকের নোটিশ তৈরি এবং তা আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানোই মূল প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় তালাকের নোটিশ পাঠাতে কাবিননামা বা অন্য কাগজপত্র সরাসরি লাগে না, বরং উভয়ের নাম-ঠিকানাই যথেষ্ট। তবে চূড়ান্ত ডিভোর্স সার্টিফিকেট বা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো দরকার হয়।
স্ত্রী যদি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত না হন (নিকাহনামার ১৮ নম্বর কলামে) তবে তাকে পারিবারিক আদালতে আবেদন করে ডিভোর্স নিতে হয়, সেক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে অন্যান্য কাগজপত্র এবং আইনি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে, তাই একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো।
তালাক দিতে কোন কাগজপত্র দরকার নেই/তালাক দিতে উভয়ের নাম ঠিকানাই যথেষ্ট/তালাক দিতে কাবিবনামা দরকার নেই এই ভিডিওটিতে তালাক নোটিশ পাঠানোর পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন