ঐশ্বর্য রাই ডিভোর্স

 ঐশ্বর্য রাই ডিভোর্স


ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) গুজব অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। তবে এই খবরগুলো গুজব বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় এবং তাদের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

গুজব ও তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  • বিচ্ছেদের গুঞ্জন: ২০২৩ সাল থেকে বলিউড পাড়ায় এই দম্পতিকে নিয়ে ডিভোর্সের গুঞ্জন জোরালো হয়। তাদের একসঙ্গে কম দেখা যাওয়া, ঐশ্বর্য রাইয়ের কোনো কোনো অনুষ্ঠানে বচ্চন পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থিত হওয়া, এবং তার নাম থেকে 'বচ্চন' পদবি সরিয়ে শুধু 'ঐশ্বর্য রাই' লেখার মতো বিষয়গুলো এই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এমনকি, 'গ্রে ডিভোর্স'-এর (দীর্ঘদিন বিবাহিত থাকার পর বিচ্ছেদ) মতো বিষয় নিয়েও জল্পনা ছড়ায়।

  • ঐশ্বর্য-অভিষেকের নীরবতা ও ইঙ্গিত: এই গুজবগুলো নিয়ে অভিষেক বা ঐশ্বর্য কেউই প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তারা বিভিন্ন সময় একসঙ্গে জনসমক্ষে এসেছেন, যেমন - মেয়ের স্কুলের অনুষ্ঠানে বা পারিবারিক ছুটিতে। তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র এবং প্রতিবেশী (চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রহ্লাদ কাক্কার) এই গুজবকে 'পুরোটাই মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

  • গুজব খণ্ডন: ঐশ্বর্যর প্রতিবেশী প্রহ্লাদ কাক্কারের মতে, ঐশ্বর্য তার মা অসুস্থ থাকায় প্রায়ই মেয়ের স্কুল চলাকালীন সময়ে মায়ের সাথে দেখা করতে যান। এই বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে অনেকে মনে করেছেন যে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মায়ের কাছে চলে গেছেন। এছাড়াও, অভিষেক বচ্চনও এক সাক্ষাৎকারে মজাদারভাবে এসব গুজব উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং ঐশ্বর্যকে তার জীবনের বড় সাপোর্ট হিসেবে প্রশংসা করেছেন। ঐশ্বর্য নিজেই এক পোস্টে স্বামী ও কন্যার সঙ্গে ছবি দিয়ে বিচ্ছেদের খবরটি যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সারসংক্ষেপে, ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চনের ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের কোনো আনুষ্ঠানিক বা নিশ্চিত খবর নেই। প্রচারিত খবরগুলো সবই জল্পনা ও গুজব।

Aishwarya Rai drops the 'Bachchan' surname amid divorce rumours with Abhishek Bachchan এই ভিডিওটিতে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের বিচ্ছেদের গুজব এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের নাম থেকে বচ্চন পদবি বাদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের গুজব বা জল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় রয়েছে। তবে বর্তমানে এই দম্পতির আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয়নি

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী:

  • বিচ্ছেদের গুজব: গত বেশ কিছু সময় ধরে ঐশ্বর্য ও অভিষেকের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। কিছু খবরে তাদের 'গ্রে ডিভোর্স'-এর পথে হাঁটার জল্পনাও করা হয়। তাদের একসাথে জনসমক্ষে কম দেখা যাওয়া এবং কিছু পারিবারিক অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে উপস্থিত থাকা এই গুজবকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

  • অভিষেকের বক্তব্য: বিচ্ছেদের গুজব প্রসঙ্গে অভিষেক বচ্চন একবার প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন যে তারা এখনও বিবাহিত এবং এই সমস্ত খবর কেবলই 'কল্পনার ওপর ভর করে এগিয়ে যাওয়া'। তিনি সংবাদমাধ্যমকে এই ধরনের ভিত্তিহীন খবর প্রচার না করার অনুরোধ করেন।

  • পরিবারের বক্তব্য: বচ্চন পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করা হলেও, অমিতাভ বচ্চন তার একটি ব্লগে পরিবার সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া সমস্ত খবরকে 'অপ্রমাণিত মিথ্যা' (Speculated UNTRUTHS without verifications) বলে উল্লেখ করেন।

  • পেশাগত ব্যাখ্যা: ঐশ্বর্যর পরিচিত বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রহ্লাদ কক্করও এই গুজবকে 'বাজে কথা' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐশ্বর্য তার অসুস্থ মায়ের সাথে দেখা করতে যেতেন, যা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে আলাদা থাকার গুজব ছড়ানো হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ঐশ্বর্য এখনও বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ এবং গৃহকর্ত্রী।

মোটকথা, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা চললেও, তাদের পক্ষ থেকে বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে ডিভোর্সের কোনো নিশ্চিত খবর বা ঘোষণা আসেনি। বরং, একাধিকবার তারা এই গুজবকে অস্বীকার করেছেন বা একত্রে জনসমক্ষে এসে এর জবাব দিয়েছেন।


ঐশ্বর্য রাই 'বংশ' নিয়ে করা মন্তব্যের ভিডিওটি দেখতে পারেন Aishwarya Rai's BIG statement on 'Curse' goes viral amidst divorce rumours।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন