মনোবিজ্ঞানের জনক কে

মনোবিজ্ঞানের জনক কে

 

মনোবিজ্ঞানের জনক হিসেবে উইলহেলম ভুনট-কে (Wilhelm Wundt) বিবেচনা করা হয়। যদিও মনোবিজ্ঞানের ধারণা বহু পুরোনো, কিন্তু ভুনট ১৮৭৯ সালে জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের প্রথম মনোবিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।

আধুনিক মনোবিজ্ঞানে ভুনটের অবদান

  • পরীক্ষণমূলক মনোবিজ্ঞানের সূচনা: ভুনট মন এবং চেতনার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি মনকে পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপযোগ্য একটি বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন, যা দর্শন থেকে মনোবিজ্ঞানকে একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।

  • কাঠামোবাদ (Structuralism): তিনি মনের মৌলিক উপাদানগুলো বোঝার জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করেন, যা "কাঠামোবাদ" নামে পরিচিত। তিনি অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণের উপর জোর দিয়েছিলেন, যেমন মানুষের অনুভূতি, সংবেদন এবং চিন্তাভাবনা।

  • প্রথম পরীক্ষাগার: তার প্রতিষ্ঠিত গবেষণাগারটি মনোবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এখান থেকেই বহু মনোবিজ্ঞানী তাদের কর্মজীবন শুরু করেন এবং মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা বিকশিত হতে থাকে।

উল্লিখিত ভিডিওটি সিগমুন্ড ফ্রয়েডকে আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অভিহিত করে, যা মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং তাদের ভূমিকার একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরে।

মনোবিজ্ঞানের জনক হিসেবে উইলহেলম ভুনট-কে (Wilhelm Wundt) বিবেচনা করা হয়। যদিও মনোবিজ্ঞানের ধারণা বহু পুরোনো, কিন্তু ভুনট ১৮৭৯ সালে জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের প্রথম মনোবিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।

আধুনিক মনোবিজ্ঞানে ভুনটের অবদান

  • পরীক্ষণমূলক মনোবিজ্ঞানের সূচনা: ভুনট প্রথম ব্যক্তি যিনি মন ও আচরণের বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য পদ্ধতিগত ও পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এর ফলে মনোবিজ্ঞান দর্শন থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞানের মর্যাদা লাভ করে।

  • প্রথম গবেষণাগার: তার প্রতিষ্ঠিত গবেষণাগারটি মনোবিজ্ঞানের গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এবং বহু বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সেখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

  • কাঠামোবাদ (Structuralism): তিনি মনোবিজ্ঞানে কাঠামোবাদের জন্ম দেন, যার লক্ষ্য ছিল চেতনার মৌলিক উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করা।

এছাড়াও, সিগমুন্ড ফ্রয়েড (Sigmund Freud) এবং উইলিয়াম জেমস (William James)-এর মতো ব্যক্তিত্বদেরও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তাদের অবদান ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে:

  • সিগমুন্ড ফ্রয়েড: তিনি মনোবিশ্লেষণ বা মনঃসমীক্ষণ (Psychoanalysis) পদ্ধতির জনক। তিনি অবচেতন মনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

  • উইলিয়াম জেমস: তিনি আমেরিকান মনোবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি কার্যকারিতাবাদ (Functionalism) তত্ত্বের প্রবক্তা, যা মন কীভাবে মানুষকে বাস্তব জগতে কাজ করতে সাহায্য করে তা নিয়ে আলোচনা করে।

<br>

<br>

সিগমুন্ড ফ্রয়েড: আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক ‖ মনঃসমীক্ষন ‖ Sigmund Freud

<br>

এই ভিডিওটি মনোবিজ্ঞানের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও তার অবদান নিয়ে আলোচনা করে।

Post a Comment

أحدث أقدم