ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আবিষ্কারক কে

 ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আবিষ্কারক কে


ওশিয়ানিয়া কোনো একক আবিষ্কারকের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়নি। এটি একটি বিশাল অঞ্চল যা অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। ওশিয়ানিয়ার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের দ্বারা আবিষ্কৃত ও জনবসতিপূর্ণ হয়েছে।

প্রথম জনবসতি

ওশিয়ানিয়ার প্রথম আবিষ্কারক ও বসতি স্থাপনকারীরা ছিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রায় ৬০,০০০ বছর আগে আদি অস্ট্রেলীয় এবং নিউ গিনির মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে এখানে এসে পৌঁছায়। এরপর, প্রায় ৪,০০০ বছর আগে পলিনেশীয়, মাইক্রোনেশীয় এবং মেলানেশীয়রা সমুদ্রপথে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। তারা নিজেদের উন্নতমানের নৌযান এবং দিক-নির্ণয় জ্ঞান ব্যবহার করে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এই দ্বীপগুলোতে বসতি স্থাপন করে।

ইউরোপীয় আবিষ্কার

১৫০০-এর দশকের পর থেকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা ওশিয়ানিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছাতে শুরু করে।

  • পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ অভিযাত্রী: ১৫১২ থেকে ১৫২৬ সালের মধ্যে পর্তুগিজ নাবিকরা নিউ গিনি এবং ক্যারোলাইন দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে পৌঁছায়। স্প্যানিশ অভিযাত্রী ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান ১৫২০ সালে প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে যাত্রা করেন।

  • ডাচ অভিযাত্রী: ১৬০৬ সালে উইলিয়াম জ্যানসজুন প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে পৌঁছান। এরপর আবেল তাসমান ১৬৪২ সালে তাসমানিয়া ও নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করেন।

  • ব্রিটিশ অভিযাত্রী: ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুক অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল আবিষ্কার করেন এবং এর নামকরণ করেন নিউ সাউথ ওয়েলস। এরপর তিনি নিউজিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরের অনেক দ্বীপের মানচিত্র তৈরি করেন, যা ওশিয়ানিয়া সম্পর্কে ইউরোপের জ্ঞানকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।

সুতরাং, ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আবিষ্কারের পেছনে একক কোনো ব্যক্তি নেই, বরং এটি আদিবাসী মানুষের দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা এবং পরবর্তীকালে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধানের ফল।

এই ডকুমেন্টারিটি অস্ট্রেলিয়া ও ওশিয়ানিয়ার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে। Australia and Oceania: Where Desert Meets Ocean

ওশিয়ানিয়া কোনো একক আবিষ্কারকের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়নি। এটি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত একটি অঞ্চল, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশও অন্তর্ভুক্ত।

তবে, ইউরোপীয়দের কাছে এই অঞ্চলের পরিচিতি ঘটে বিভিন্ন অভিযাত্রীর মাধ্যমে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন ব্রিটিশ নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুক (Captain James Cook)। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে তার তিনটি সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে এই অঞ্চলের অনেক দ্বীপ আবিষ্কার ও মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেন। বিশেষ করে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল এবং নিউজিল্যান্ডের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করেন, যা ইউরোপে ওশিয়ানিয়া সম্পর্কে জ্ঞান প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


ওশেনিয়া মহাদেশের বিস্তারিত তথ্য জানতে আপনি এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।

ওশেনিয়া মহাদেশ - পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মহাদেশ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন