ভাইরোলজির জনক কে
ভাইরোলজির জনক হলেন মার্টিনাস বেজেরিংক (Martinus Beijerinck)।
মার্টিনাস বেজেরিংক ছিলেন একজন ডাচ মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং বোটানিস্ট। তিনি ১৯ শতকের শেষের দিকে তামাক গাছের একটি রোগ নিয়ে গবেষণা করেন, যা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হচ্ছে না বলে প্রমাণ করেন। তিনি প্রমাণ করেন যে, এটি একটি ভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু দ্বারা সৃষ্ট, যা ব্যাকটেরিয়ার চেয়েও ছোট এবং কেবল জীবন্ত কোষে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তিনি এই রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্টকে "সংক্রামক জীবন্ত তরল" (contagium vivum fluidum) হিসেবে বর্ণনা করেন এবং এটিকে ভাইরাস (virus) নাম দেন।
যদিও ইভানোভস্কি প্রায় একই সময়ে এই ধরনের রোগজীবাণু নিয়ে কাজ করছিলেন, তবে বেজেরিংকই প্রথম এটি যে একটি নতুন ধরনের জীবাণু, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেন। তাই, তাকেই ভাইরোলজির জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভাইরোলজির জনক হলেন মার্টিনাস বেজেরিংক (Martinus Beijerinck)।
তিনি একজন ওলন্দাজ অণুজীববিজ্ঞানী এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী। ১৮৯৮ সালে তিনি প্রথম প্রমাণ করেন যে, তামাক গাছের মোজাইক রোগ সৃষ্টিকারী সংক্রামক পদার্থটি কোনো ব্যাকটেরিয়া নয়, বরং তার চেয়েও ক্ষুদ্র একটি সত্তা, যার নাম তিনি দেন 'ভাইরাস'। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তাকে আধুনিক ভাইরোলজির পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়াও, দিমিত্রি ইভানোভস্কি (Dmitri Ivanovsky)-কেও অনেক সময় ভাইরোলজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ তিনি ১৮৯২ সালে একই রোগ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে প্রথম এই অণুজীবটির অস্তিত্বের কথা বলেন। তবে, ইভানোভস্কি সেটিকে একটি বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন, যা ফিল্টার থেকে বের হতে পারে। বেজেরিংকই প্রথম এটি যে একটি নতুন ধরনের সংক্রামক পদার্থ, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেন।
إرسال تعليق