স্ত্রী মানবদেহে শতকরা কত ভাগ পানি থাকে
মানবদেহে শতকরা পানির পরিমাণ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, তবে সাধারণভাবে বলা যায়:
মানবদেহে পানির শতকরা পরিমাণ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর (স্ত্রী) শরীরে গড়ে শতকরা ৫৫% থেকে ৬০% পানি থাকে।
পুরুষের চেয়ে কম কেন?
সাধারণত, পুরুষের তুলনায় নারীদের শরীরে পানির পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। এর প্রধান কারণ হলো:
ফ্যাট টিস্যু (চর্বি): নারীদের শরীরে সাধারণত পুরুষের তুলনায় ফ্যাট টিস্যুর (Fat Tissue) পরিমাণ বেশি থাকে। চর্বি বা ফ্যাট টিস্যুতে পানির পরিমাণ খুব কম থাকে (প্রায় ১০%)।
পেশী (Muscle): অন্যদিকে, পুরুষের শরীরে পেশী (Muscle) টিস্যুর পরিমাণ বেশি থাকে, যেখানে পানির পরিমাণ অনেক বেশি (প্রায় ৭৫%)।
তাই ফ্যাট ও পেশীর এই ভিন্নতার কারণেই নারীদের শরীরে পানির গড় পরিমাণ কিছুটা কম হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
গড় মানবদেহ: একজন গড় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে সাধারণত ৬০% থেকে ৭০% পানি থাকে।
বয়স: নবজাতকের শরীরে প্রায় ৭৫% পানি থাকে, যা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে এবং বৃদ্ধ বয়সে প্রায় ৫৫% এ নেমে আসে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানির পরিমাণ: শরীরের বিভিন্ন অংশে পানির পরিমাণ ভিন্ন হয়। যেমন:
রক্তে: প্রায় ৮৩%
মস্তিষ্কে: প্রায় ৭৪%
হাড়ে: প্রায় ২২%
মানবদেহে পানির পরিমাণ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, তবে স্ত্রী বা নারীর শরীরে সাধারণত পুরুষের তুলনায় পানির শতাংশ কিছুটা কম থাকে। এর প্রধান কারণ হলো নারীদের শরীরে পুরুষের তুলনায় চর্বি বা ফ্যাট টিস্যুর পরিমাণ বেশি থাকে, আর চর্বিতে পানির পরিমাণ কম।
সাধারণভাবে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর শরীরে তাদের মোট ওজনের প্রায় ৫৫% থেকে ৬০% পানি থাকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পুরুষের তুলনায় কম: একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শরীরে সাধারণত প্রায় ৬০%-৬৫% পানি থাকে। সেখানে নারীর শরীরে চর্বি বেশি থাকার কারণে পানির পরিমাণ কমে ৫৫%-৬০% হয়ে যায়।
বয়স ও শরীরের গঠনের প্রভাব:
শিশুদের: নবজাতক শিশুর শরীরে পানির পরিমাণ থাকে সর্বোচ্চ, প্রায় ৭৫%।
বৃদ্ধ বয়সে: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে পানির পরিমাণ কমতে থাকে, বৃদ্ধ বয়সে তা প্রায় ৫৫%-এ নেমে আসে।
চর্বি বনাম পেশী: পেশী টিস্যুতে চর্বি টিস্যুর চেয়ে বেশি পানি থাকে। তাই পেশীবহুল শরীরে চর্বিবহুল শরীরের চেয়ে পানির শতাংশ বেশি থাকে।
শরীরে পানির ভূমিকা
পানিকে 'জীবনের অপর নাম' বলা হয় কারণ এটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও কাজে সাহায্য করে, যেমন:
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
খাদ্য পরিপাক ও শোষণ করা।
কোষগুলোতে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করা।
বর্জ্য পদার্থ (যেমন প্রস্রাব ও ঘাম) শরীর থেকে বের করে দেওয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন