পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ইতিহাস

 পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ইতিহাস


পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন গোপাল

পাল বংশের প্রতিষ্ঠা

বাংলার ইতিহাসে পাল বংশের প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সপ্তম শতাব্দীতে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশো বছর বাংলায় চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছিল, যা মাৎস্যন্যায় নামে পরিচিত। এই সময়ে বাংলায় কোনো কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না এবং ছোট ছোট সামন্ত রাজারা নিজেদের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিল। এই অরাজকতা থেকে মুক্তি পেতে বাংলার জনগণ গোপালকে তাদের নেতা নির্বাচন করেন এবং তাকে সিংহাসনে বসান। এইভাবে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপাল পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।

গোপালের শাসন

গোপাল প্রায় ৭৫০ থেকে ৭৭৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি কেবল পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না, বরং মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। তার সুনিপুণ নেতৃত্বে পাল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়। যদিও তার রাজ্য খুব বড় ছিল না, কিন্তু তার উত্তরসূরিরা, বিশেষ করে তার পুত্র ধর্মপাল এবং পৌত্র দেবপাল, এই সাম্রাজ্যকে এক বিশাল আকার দেন। এই রাজবংশ প্রায় ৪০০ বছর ধরে বাংলা এবং বিহারের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করে।

পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন গোপাল

পাল বংশের প্রতিষ্ঠা

গোপাল প্রায় ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। সেই সময়ে বাংলায় চলছিল এক অরাজক অবস্থা, যাকে বলা হয় 'মাৎস্যন্যায়' (অর্থাৎ, বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে গিলে খায়, তেমনি শক্তিশালীরা দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করত)। এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণ সম্মিলিতভাবে গোপালকে রাজা হিসেবে বেছে নেয়। এর মাধ্যমে বাংলায় একটি স্থিতিশীল এবং দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশের সূচনা হয়।

গোপালের শাসনকাল

গোপাল প্রায় ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। যদিও তার শাসনকাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুব বেশি পাওয়া যায় না, তবুও তিনি পাল রাজবংশের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে সফল হন। তার রাজত্বের মাধ্যমেই পাল সাম্রাজ্যের গৌরবময় যুগের সূচনা হয়েছিল, যা প্রায় চার শতাব্দী ধরে স্থায়ী ছিল। গোপালের পরে তার পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং পাল সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন