যুক্তিবিদ্যার জনক কে উত্তর
যুক্তিবিদ্যার জনক হলেন অ্যারিস্টটল (Aristotle)।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তিকে একটি সুসংবদ্ধ এবং পদ্ধতিগত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার যুক্তিবিদ্যার ওপর লেখা ছয়টি গ্রন্থ, যা একত্রে "অর্গানন (Organon)" নামে পরিচিত, পাশ্চাত্য দর্শনে বহু শতাব্দী ধরে যুক্তিবিদ্যার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।
অ্যারিস্টটলের অবদান
অ্যারিস্টটল তার অর্গানন-এ অনুমান (Syllogism) নামক এক ধরনের যুক্তির কাঠামো তৈরি করেন। এই কাঠামোতে দুটি প্রধান বাক্য (Premises) থেকে একটি নতুন সিদ্ধান্ত (Conclusion) টানা হয়। তার এই পদ্ধতিগত বিশ্লেষণই পরবর্তীকালে যুক্তিবিদ্যাকে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র হিসেবে বিকশিত হতে সাহায্য করে। তিনি যুক্তির বৈধতা এবং অবৈধতার নিয়মাবলী প্রণয়ন করেন, যা আজও এর মূল নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তার এই অবদানের জন্যই তাকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়।
যুক্তিবিদ্যার জনক হলেন অ্যারিস্টটল (Aristotle)।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তিকে একটি সুসংবদ্ধ এবং পদ্ধতিগত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার যুক্তি সম্পর্কিত কাজগুলো, যা পরবর্তীতে "অর্গানন" (Organon) নামে পরিচিতি লাভ করে, সেখানে তিনি যুক্তি, অনুমান এবং যুক্তির বিভিন্ন নিয়মকানুন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অ্যারিস্টটলের মূল অবদান:
সিজলিস্টিক লজিক (Syllogistic Logic): অ্যারিস্টটলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো সিজলিস্টিক লজিকের প্রবর্তন। এটি হলো যুক্তির একটি রূপ, যেখানে দুটি প্রধান বিবৃতি (premises) থেকে একটি নতুন সিদ্ধান্তে (conclusion) উপনীত হওয়া যায়। যেমন:
সব মানুষ মরণশীল। (প্রথম বিবৃতি)
সক্রেটিস একজন মানুষ। (দ্বিতীয় বিবৃতি)
সুতরাং, সক্রেটিস মরণশীল। (সিদ্ধান্ত)
যুক্তিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন: অ্যারিস্টটলই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তির মৌলিক ধারণা যেমন: ধারণা (concepts), পদ (terms), বাক্য (propositions) এবং সত্যতা (truth) নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। তার এই কাজগুলোই যুক্তিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তীকালের দার্শনিক ও গণিতবিদদের জন্য একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করে।
অ্যারিস্টটলের কাজ এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে, প্রায় দুই হাজার বছর ধরে তার যুক্তিবিদ্যার পদ্ধতিই প্রধান ছিল। তাকে শুধুমাত্র যুক্তিবিদ্যার জনক হিসেবেই নয়, বরং এই শাস্ত্রের প্রায় একক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন