পরিসংখ্যানের জনক কে উত্তর
পরিসংখ্যানের জনক হলেন স্যার রোনাল্ড ফিশার (Sir Ronald Fisher)।
২০শ শতাব্দীর এই ব্রিটিশ গণিতবিদ ও জীববিজ্ঞানী আধুনিক পরিসংখ্যানের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। তাকে প্রায়শই "পরিসংখ্যানের জনক" বা "আধুনিক পরিসংখ্যানের জনক" বলা হয়, কারণ তিনি পরিসংখ্যানকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই বিষয়ের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ও তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন।
ফিশারের প্রধান অবদান:
সর্বাধিক সম্ভাব্যতার ধারণা (Maximum Likelihood Estimation): এটি পরিসংখ্যানগত অনুমানের একটি শক্তিশালী পদ্ধতি যা আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ভেরিয়েন্সের বিশ্লেষণ (Analysis of Variance - ANOVA): এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানগত পরীক্ষা যা একাধিক দলের মধ্যে গড় পার্থক্যের তুলনা করতে ব্যবহৃত হয়।
পরীক্ষামূলক নকশা (Design of Experiments): তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পরিসংখ্যানের সঠিক প্রয়োগের জন্য পরীক্ষণ নকশার নিয়ম তৈরি করেন।
তার এই কাজগুলো জীববিদ্যা, জেনেটিক্স, কৃষি এবং অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তাই, আধুনিক পরিসংখ্যানের উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য।
পরিসংখ্যানের জনক হলেন স্যার রোনাল্ড ফিশার (Sir Ronald Fisher)।
তাকে আধুনিক পরিসংখ্যানের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও পরিসংখ্যানের ধারণা বহু পুরনো, ফিশার ১৯শ ও ২০শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই বিষয়টিকে একটি বিজ্ঞানসম্মত রূপ দেন। তিনি পরীক্ষামূলক নকশা (experimental design), সম্ভাব্যতা (probability) এবং অনুমানভিত্তিক পরিসংখ্যানের (inferential statistics) মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো তৈরি করেন, যা আজও গবেষণা ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
পরিসংখ্যানের ইতিহাসে ফিশারের অবদান
পরীক্ষামূলক নকশা: ফিশার গবেষণায় এলোমেলো নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা (randomized controlled trials) এবং বিশ্লেষণের ভিন্নতার (analysis of variance - ANOVA) মতো পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, যা জীববিজ্ঞান, কৃষি এবং সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দেয়।
সম্ভাব্যতা ও অনুমান: তিনি একটি ছোট নমুনা থেকে সমগ্র জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনুমান করার জন্য প্রয়োজনীয় গাণিতিক কাঠামো তৈরি করেন। তার এই কাজই আধুনিক পরিসংখ্যানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য অবদান: তিনি জিনতত্ত্ব, কৃষি এবং বিবর্তনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ দেখিয়েছেন, যা এই বিষয়গুলোর গবেষণাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে।
ফিশারের কাজের ফলেই পরিসংখ্যান শুধু ডেটা সংগ্রহের একটি পদ্ধতি না হয়ে ডেটা বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি অপরিহার্য হাতিয়ারে পরিণত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন