অপরাধ বিজ্ঞানের জনক কে
অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে দুজন ব্যক্তির নাম সবচেয়ে বেশি পরিচিত: সিজার লোমব্রোসো (Cesare Lombroso) এবং সিজার বেক্কারিয়া (Cesare Beccaria)।
তবে, সাধারণভাবে সিজার লোমব্রোসোকেই আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে ধরা হয়। ইতালীয় এই চিকিৎসক এবং অপরাধবিজ্ঞানী ১৮শ শতাব্দীর শেষ ভাগে অপরাধীদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং জন্মগত কারণের উপর ভিত্তি করে একটি তত্ত্ব প্রদান করেন, যা 'Criminal Man' (অপরাধী মানুষ) নামে পরিচিত।
অন্যদিকে, সিজার বেক্কারিয়া ক্লাসিক্যাল অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৭৬৪ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ "অন ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট" (On Crimes and Punishments) প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বৈপ্লবিক ধারণা দেন এবং মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার ওপর জোর দেন।
অপরাধ বিজ্ঞানের মতবাদ গোষ্ঠী
এই ভিডিওটিতে অপরাধ বিজ্ঞানের বিভিন্ন মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা এই বিষয়ের গভীরতা বুঝতে সাহায্য করবে।
অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত সিজার লোম্ব্রোসো (Cesare Lombroso) কে গণ্য করা হয়। 👨🏫
তিনি ছিলেন একজন ইতালীয় চিকিৎসক ও অপরাধবিজ্ঞানী, যিনি ১৯ শতকে অপরাধের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন শুরু করেন। তার প্রধান অবদান ছিল 'জন্মগত অপরাধী' (born criminal) ধারণাটি, যেখানে তিনি বলেন যে কিছু মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্যই তাদের অপরাধপ্রবণ করে তোলে। যদিও তার এই তত্ত্ব পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়, তবুও তিনি অপরাধকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে গবেষণার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছিলেন, যার জন্য তাকে আধুনিক অপরাধবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
তবে, অনেক সময় সিজার বেকারিয়া (Cesare Beccaria)-কেও অপরাধবিজ্ঞানের ক্লাসিক্যাল স্কুলের জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ "অন ক্রাইমস অ্যান্ড পানিশমেন্ট" (On Crimes and Punishments)-এর মাধ্যমে আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য যুক্তি দেন, যা অপরাধের কারণ বিশ্লেষণের পরিবর্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ওপর বেশি জোর দেয়।
অপরাধ বিজ্ঞানের বিভিন্ন মতবাদ গোষ্ঠী সম্পর্কে জানতে চাইলে, এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। অপরাধ বিজ্ঞানের মতবাদ গোষ্ঠী
অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে দুজন ব্যক্তির নাম প্রায়শই উল্লেখ করা হয়: সিজার লোমব্রোসো এবং সিজার বেকারিয়া।
সিজার লোমব্রোসো (Cesare Lombroso): তাকে সাধারণত আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইতালীয় এই চিকিৎসক ও অপরাধবিজ্ঞানী ১৮শ শতাব্দীর শেষ ভাগে অপরাধীদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি "জন্মগত অপরাধী" (born criminal) নামক একটি বিতর্কিত তত্ত্বের প্রবর্তন করেন, যেখানে তিনি বলেন যে কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই অপরাধপ্রবণ এবং তাদের শারীরিক কিছু বিশেষ চিহ্ন দেখে তা বোঝা যায়। যদিও তার এই তত্ত্ব পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও বাতিল হয়েছে, তবে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি অপরাধকে একটি বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিতে অধ্যয়নের সূচনা করেন।
সিজার বেকারিয়া (Cesare Beccaria): তিনি ধ্রুপদী অপরাধ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। ১৭৬৪ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ "অন ক্রাইমস অ্যান্ড পানিশমেন্টস" (On Crimes and Punishments)-এর মাধ্যমে তিনি প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি শাস্তি ব্যবস্থায় সংস্কারের পক্ষে যুক্তি দেন এবং বলেন যে, অপরাধের কারণ হিসেবে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে (free will) বিবেচনা করা উচিত। তিনি মৃত্যুদণ্ড এবং শারীরিক শাস্তির বিরোধিতা করে দ্রুত, নির্দিষ্ট এবং আনুপাতিক শাস্তির পক্ষে মত দেন। তার ধারণাগুলো পরবর্তীকালে ফৌজদারি আইন ও বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
অতএব, আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে সিজার লোমব্রোসো এবং তার পূর্ববর্তী ধ্রুপদী ধারার জনক হিসেবে সিজার বেকারিয়া উভয়কেই অপরাধ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়।
অপরাধ বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন: অপরাধ বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন