গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে জানার উপায় :
গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ জানার কিছু উপায় রয়েছে, তবে এর মধ্যে কিছু পদ্ধতি কেবলই লোককথা বা প্রচলিত ধারণা, যেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে, কিছু আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে।50% ছাড়ে: ছেলেদের মেয়েদের লি- ঙ্গ ২ ইঞ্চি মোটা বড় করার কন -ডম কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন
নিচে উভয় ধরনের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো :
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি :
- আলট্রাসনোগ্রাফি : এটি সবচেয়ে পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। গর্ভাবস্থার প্রায় ২০-২২ সপ্তাহ নাগাদ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের যৌনাঙ্গ স্পষ্টভাবে দেখা গেলে লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব। তবে, বাচ্চার অবস্থান এবং যন্ত্রের গুণমানের ওপর নির্ভুলতা নির্ভর করে।
- অ্যামনিওসেন্টেসিস (Amniocentesis) : এই পদ্ধতিতে গর্ভাশয়ের অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে কোষ সংগ্রহ করে ক্রোমোসোমাল অ্যানালিসিসের মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ জানা যায়। সাধারণত জিনগত কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা জানার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়, তবে এর মাধ্যমে লিঙ্গও নির্ধারণ করা যায়। এটি গর্ভাবস্থার ১৫-২০ সপ্তাহের মধ্যে করা হয়।
- কোরিওনিক ভিলাস স্যাম্পলিং (Chorionic Villus Sampling - CVS) : এই পদ্ধতিতে প্ল্যাসেন্টা থেকে কোষের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এটি অ্যামনিওসেন্টেসিসের চেয়ে আগে, গর্ভাবস্থার ১০-১২ সপ্তাহের মধ্যেই করা সম্ভব। এটিও সাধারণত জিনগত রোগ নির্ণয়ের জন্য করা হয়, তবে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়।
- মায়ের রক্ত পরীক্ষা (Non-invasive Prenatal Testing - NIPT) : এই আধুনিক পরীক্ষায় মায়ের রক্তে ভাসমান ভ্রূণের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব। এটি গর্ভাবস্থার ১০ সপ্তাহ থেকেই করা যেতে পারে এবং এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রচলিত ধারণা (যাদের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই) :
অনেক বয়স্ক মহিলা বা লোককথায় গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হওয়ার কিছু লক্ষণ বা অনুমানের কথা বলা হয়। এগুলো ভিত্তিহীন এবং কেবলই কাকতালীয় হতে পারে।
এর মধ্যে কয়েকটি ধারণা নিচে উল্লেখ করা হলো :
- সকালে বেশি বমি হলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- পেটের আকার উঁচু হলে মেয়ে এবং নিচু হলে ছেলে সন্তান হয়।
- গর্ভবতী মায়ের ত্বক উজ্জ্বল হলে ছেলে এবং ফ্যাকাসে হলে মেয়ে সন্তান হয়।
- মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে করলে মেয়ে এবং নোনতা বা টক খাবার খেতে ইচ্ছে করলে ছেলে সন্তান হয়।
- গর্ভের বাচ্চার হৃদস্পন্দন বেশি হলে মেয়ে এবং কম হলে ছেলে সন্তান হয়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
আমাদের দেশে এবং অনেক দেশেই গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর প্রধান কারণ হলো লিঙ্গ বৈষম্য রোধ করা এবং কন্যা ভ্রূণহত্যা প্রতিরোধ করা।
সুতরাং, সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য শুধুমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা উচিত এবং প্রচলিত ধারণাগুলোকে বিশ্বাস করা উচিত নয়।
যদি কোনো বিশেষ কারণে লিঙ্গ জানা অত্যাবশ্যক হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং দেশের আইন মেনে চলতে হবে।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে জানার জন্য বর্তমানে কিছু আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো আলট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasonography)।
সাধারণত, গর্ভাবস্থার ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ নাগাদ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব।
এই সময়ে সন্তানের যৌনাঙ্গ যথেষ্ট বিকশিত হয় এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফি স্ক্রিনে তা স্পষ্টভাবে দেখতে পারেন।
তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 50% ছাড়ে: ম্যাজিক ক-নড-ম বাংলাদেশি কন-ডম মেয়েদের কন-ডম দেখতে কিনতে ক্লিক করুন - এক্ষুনি কিনুন
লিঙ্গ নির্বাচন রোধ এবং কন্যা ভ্রূণহত্যা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই, অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হয় না।
এছাড়াও, কিছু সনাতনী ধারণা বা লক্ষণ প্রচলিত আছে যা গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হওয়ার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করা হয়। তবে, এই লক্ষণগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এগুলো কেবলই লোককথা।
সুতরাং, গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ জানার বৈজ্ঞানিক ও নির্ভরযোগ্য উপায় হলো আলট্রাসনোগ্রাফি, যা সাধারণত গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি সময়ে করা হয়। তবে, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে এই তথ্য প্রদান করা নাও হতে পারে।
إرسال تعليق