জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০২৫
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, পাঠ্যপুস্তক রচনা, মুদ্রণ এবং বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা।
২০২৫ সালের জন্য এনসিটিবি বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে:
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন:
- ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পর, ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে।
- নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৫ সালের পঞ্চম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিতরণ করা হচ্ছে।
- ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ও মানবণ্টন প্রকাশ করেছে এনসিটিবি, যা নতুন শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে তৈরি।
পাঠ্যপুস্তক বিতরণ:
- সরকার ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
- প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনেই সব বই পেয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পর্যায়ক্রমে পাচ্ছে।
অন্যান্য কার্যক্রম:
- এনসিটিবির ওয়েবসাইটে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তর এবং মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের তালিকা এবং পিডিএফ কপি ডাউনলোডের সুযোগ রয়েছে।
- ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বিষয় কাঠামো, মূল্যায়ন নির্দেশনা ও নম্বর বিভাজন সংক্রান্ত তথ্যও এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
- ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ও প্রশ্নের ধরণ এবং নম্বর বিভাজন প্রেরণ করা হয়েছে।
এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন নোটিশ, পরিপত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য এনসিটিবির ওয়েবসাইট (
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান কাজ হলো দেশের সকল স্তরের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, পাঠ্যপুস্তক রচনা, মুদ্রণ ও বিতরণ এবং শিক্ষাক্রম সংক্রান্ত অন্যান্য নীতি নির্ধারণ করা। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য এনসিটিবি বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য এনসিটিবি'র কার্যক্রম:
- পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণ: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার জন্য এনসিটিবি কাজ করে যাচ্ছে।
- নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন: জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এর জন্য এনসিটিবি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সহায়ক উপকরণ তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে।
- শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন: শিক্ষাক্রমকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য এনসিটিবি নিয়মিতভাবে শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা ও পরিমার্জনের কাজ করে থাকে। ২০২৫ সালের শিক্ষাক্রমের কোনো অংশ পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে, বোর্ড সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
- ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি: এনসিটিবি পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি এবং বিতরণের উপর জোর দিচ্ছে। ২০২৫ সালে বিভিন্ন শ্রেণির জন্য ইন্টারেক্টিভ ডিজিটাল লার্নিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ: নতুন শিক্ষাক্রম এবং পরিবর্তিত পাঠদান পদ্ধতির সাথে শিক্ষকদের পরিচিত করার জন্য এনসিটিবি নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। ২০২৫ সালেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
- মূল্যায়ন পদ্ধতি: নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৫ সালে এই নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য এনসিটিবি কাজ করছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- এনসিটিবি'র ওয়েবসাইটে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের তালিকা এবং পিডিএফ কপি পাওয়া যাচ্ছে:
https://nctb.gov.bd/ - ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি এবং প্রশ্নের ধরণ ও নম্বর বিভাজন এনসিটিবি কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
- ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে এনে পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের কাজ চলছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০২৫ শিক্ষাবর্ষকে সফল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করছে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য এনসিটিবি'র ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখুন।
إرسال تعليق