উসূলে ফিকহের প্রতিষ্ঠাতা কে
উসূলে ফিকহ (ইসলামী আইনশাস্ত্রের নীতিমালা) এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনো একক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা কঠিন। এটি একটি দীর্ঘ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করেছে। তবে, এই শাস্ত্রকে একটি সুশৃঙ্খল ও পদ্ধতিগত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরিস আল-শাফেঈ (ইমাম শাফেঈ)-এর অবদান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁকে উসূলে ফিকহের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর রচিত ‘আর-রিসালাহ’ গ্রন্থটিকে উসূলে ফিকহের প্রথম লিখিত গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই গ্রন্থে তিনি কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা (ঐক্যমত্য), এবং কিয়াস (সাদৃশ্যমূলক অনুমান)-এর মতো ইসলামী আইনের উৎস ও পদ্ধতিগুলোকে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত ও শ্রেণিবদ্ধ করেন, যা পরবর্তীকালে ইসলামী আইনবিদদের জন্য একটি অনুসরণীয় কাঠামো হিসেবে কাজ করে।
উসূলে ফিকহের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এককভাবে কাউকে চিহ্নিত করা কঠিন, কারণ এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। তবে, এই শাস্ত্রের মূলনীতি প্রণয়ন ও sistematize করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ইমাম শাফিঈ (Imam Shafi'i)।
তাঁর রচিত 'আল-রিসালা' (Al-Risala) গ্রন্থটিকে উসূলে ফিকহের প্রথম সুসংবদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ রচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গ্রন্থে তিনি শরিয়াহ আইনের উৎস, যেমন - কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা (ঐকমত্য) এবং কিয়াস (সাদৃশ্যমূলক অনুমান) নির্ধারণ করেন এবং সেগুলো থেকে ফিকহি বিধান গ্রহণের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। তাই, তাকে উসূলে ফিকহের শাস্ত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।
উসূলে ফিকহের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এককভাবে কাউকে চিহ্নিত করা কঠিন, কারণ এটি একটি দীর্ঘ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে। তবে, এই শাস্ত্রকে একটি সুশৃঙ্খল এবং পদ্ধতিগত বিজ্ঞানে রূপদান করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ইমাম শাফিঈ (৭৬৭-৮২০ খ্রিস্টাব্দ)।
ইমাম শাফিঈ-এর অবদান
ইমাম শাফিঈ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'আর-রিসালাহ'-এর মাধ্যমে উসূলে ফিকহের মূলনীতিগুলো প্রথমবার সংকলন ও সুবিন্যস্ত করেন। তিনি চারটি প্রধান উৎস থেকে শরিয়তের বিধান বের করার পদ্ধতি নির্ধারণ করেন:
১. কুরআন: ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ।
২. সুন্নাহ: হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাণী, কাজ ও অনুমোদন।
৩. ইজমা: মুসলিম পণ্ডিতদের ঐকমত্য।
৪. কিয়াস: কুরআন ও সুন্নাহ থেকে প্রাপ্ত নীতির ভিত্তিতে নতুন সমস্যার সমাধান।
এই পদ্ধতিগত কাঠামো প্রদানের জন্য ইমাম শাফিঈকে উসূলে ফিকহের জনক বা প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর এই অবদান পরবর্তী সকল ফিকহ শাস্ত্রবিদদের জন্য পথ খুলে দেয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন