পড়ালেখার আবিষ্কারক কে

 পড়ালেখার আবিষ্কারক কে


পড়ালেখা কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার নয়। এটি মানব সভ্যতার একটি দীর্ঘ এবং জটিল বিবর্তনের ফল। মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং চিন্তাভাবনার বিকাশের সাথে সাথে পড়ালেখার ধারণাও বিকশিত হয়েছে।

তবে, পড়ালেখার মূল ভিত্তি হচ্ছে লিখন পদ্ধতি (Writing System)। প্রাচীন বিভিন্ন সভ্যতায় লিখন পদ্ধতির সূচনা হয়েছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় সভ্যতা: প্রায় ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে কিউনিফর্ম (Cuneiform) নামে এক ধরনের লিখন পদ্ধতির উদ্ভব হয়।

  • প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা: প্রায় ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তারা হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics) নামে নিজস্ব লিখন পদ্ধতি তৈরি করে।

  • প্রাচীন চীন সভ্যতা: প্রায় ১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে প্রথম চীনা অক্ষরের ব্যবহার শুরু হয়।

এই প্রাচীন লিখন পদ্ধতিগুলোই পড়ালেখার মূল ভিত্তি স্থাপন করে। বিভিন্ন ভাষা এবং অক্ষর পদ্ধতির বিকাশের সাথে সাথে জ্ঞান সংরক্ষণ এবং বিতরণের প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে আসে। এভাবে ধীরে ধীরে পড়ালেখা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করে, যা আজকের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে। তাই, পড়ালেখার কোনো একজন একক আবিষ্কারক নেই, বরং এটি বিভিন্ন সভ্যতার সম্মিলিত অবদানের ফসল।

পড়ালেখা কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার নয়। এটি মানব সভ্যতার একটি দীর্ঘ এবং জটিল বিবর্তনের ফল। মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং চিন্তাভাবনার বিকাশের সাথে সাথে পড়ালেখার ধারণাও বিকশিত হয়েছে।

তবে, পড়ালেখার মূল ভিত্তি হচ্ছে লিখন পদ্ধতি (Writing System)। লিখন পদ্ধতির আবিষ্কারকে পড়ালেখার প্রথম ধাপ হিসেবে ধরা যায়।

লিখন পদ্ধতির বিবর্তন

  • প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতা: প্রায় ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয়রা প্রথম লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করে, যা কিউনিফর্ম (Cuneiform) নামে পরিচিত। তারা মাটি বা কাদামাটির ফলকে কীলক আকৃতির প্রতীক ব্যবহার করে লিখত।

  • প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা: এরপর মিশরীয়রা তাদের বিখ্যাত হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics) লিখন পদ্ধতি তৈরি করে, যা মূলত ছবি ও প্রতীকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।

  • ফিনিশীয় বর্ণমালা: প্রায় ১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফিনিশীয়রা প্রথম বর্ণমালা তৈরি করে, যা আধুনিক বর্ণমালার ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। গ্রিক এবং রোমান বর্ণমালা এই ফিনিশীয় বর্ণমালা থেকেই এসেছে।

এই লিখন পদ্ধতিগুলো আবিষ্কৃত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বই, লাইব্রেরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এর মাধ্যমে জ্ঞান সংরক্ষণ, বিস্তার এবং এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে হস্তান্তর করা সহজ হয়। তাই বলা যায়, পড়ালেখার আবিষ্কার কোনো একক ব্যক্তির নয়, বরং এটি মানব ইতিহাসের বিভিন্ন সভ্যতার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন