মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর (১৮১২-১৮৭৮)।
তিনি ১৮১২ সালে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুর জেলার (বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার) কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সমাজের দলিত ও পিছিয়ে পড়া নমঃশূদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জাগরণের জন্য এই মতবাদের প্রচলন করেন।
মতুয়া সম্প্রদায়ের মূল আদর্শ
জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা: মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আদর্শ হলো জাতিভেদ প্রথার অবসান এবং সকল মানুষের সমতা প্রতিষ্ঠা।
সংসারধর্ম পালন: হরিচাঁদ ঠাকুর সন্ন্যাস জীবনের পরিবর্তে গৃহস্থের জীবন যাপন করে ঈশ্বরপ্রেমের বাণী প্রচার করেন। তার দর্শন ছিল "হাতে কাম, মুখে নাম," অর্থাৎ কাজ করার পাশাপাশি ঈশ্বরের নাম স্মরণ করা।
শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার: তার মৃত্যুর পর তার পুত্র শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর (১৮৪৬-১৯৩৭) মতুয়া আন্দোলনকে আরও সংগঠিত রূপ দেন। তিনি শিক্ষা বিস্তারের ওপর জোর দেন এবং নমঃশূদ্রদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করেন।
বর্তমানে, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ি এবং পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরের মতুয়া ধাম এই সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর।
তিনি ১৮১২ সালে অবিভক্ত বাংলার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার অন্তর্গত ওড়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মতুয়া ধর্ম মূলত হিন্দুধর্মের একটি সংস্কারমূলক আন্দোলন, যা সমাজের পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত এবং নিম্নবর্ণের মানুষের আত্মমর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে।
হরিচাঁদ ঠাকুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ না করলেও আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও প্রেম-ভক্তির মাধ্যমে তার অনুসারীদের মধ্যে এক নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেন। তার প্রচারিত মতবাদের মূল কথা হলো, সন্ন্যাস জীবন নয় বরং সংসার জীবন পালন করেই ঈশ্বরকে লাভ করা সম্ভব। তার একটি বিখ্যাত বাণী হলো "হাতে কাম, মুখে নাম", অর্থাৎ কর্মের পাশাপাশি ঈশ্বরকে স্মরণ করা।
হরিচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুর এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি মতুয়াদের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মতুয়া মহাসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন