নৈরাজ্যবাদের জনক হলেন কে

 নৈরাজ্যবাদের জনক হলেন কে


নৈরাজ্যবাদের জনক হিসেবে উইলিয়াম গডউইন-কে (William Godwin) বিবেচনা করা হয়।

কেন তাকে নৈরাজ্যবাদের জনক বলা হয়?

উইলিয়াম গডউইন ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক। যদিও তিনি নিজে কখনোই "নৈরাজ্যবাদী" শব্দটি ব্যবহার করেননি, তাঁর লেখাগুলোই প্রথম নৈরাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "অ্যান এনকোয়্যারি কনসারনিং পলিটিক্যাল জাস্টিস" (An Enquiry Concerning Political Justice), যা ১৭৯৩ সালে প্রকাশিত হয়, সেখানেই তিনি রাষ্ট্র, সরকার এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর বিস্তারিত সমালোচনা করেন।

তাঁর মূল ধারণাগুলো ছিল:

  • রাষ্ট্রের বিলুপ্তি: তিনি বিশ্বাস করতেন যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে এবং মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিবাদী ও নৈতিক ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। তিনি যুক্তি দেন যে, একটি ন্যায়ভিত্তিক ও নৈতিক সমাজ গঠনে কোনো ধরনের শাসনের প্রয়োজন নেই।

  • যুক্তিবাদী ব্যক্তিগত নৈতিকতা: গডউইন মনে করতেন যে, মানুষ যুক্তিবাদী জীব এবং তারা যদি স্বাধীনতার সুযোগ পায়, তবে তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাহ্যিক কোনো আইন বা শাসনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিবেকই হলো নৈতিক আচরণের প্রধান চালিকাশক্তি।

যদিও পিয়েরে-জোসেফ প্রুডোঁ এবং মিখাইল বাকুনিনের মতো পরবর্তী নৈরাজ্যবাদী চিন্তাবিদগণ এই ধারণাকে আরও বিকশিত করেছেন, গডউইনের কাজই প্রথম এই তত্ত্বগুলোর ভিত্তি স্থাপন করে। তাই তাকে নৈরাজ্যবাদের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।

নৈরাজ্যবাদের জনক হিসেবে উইলিয়াম গডউইন-কে (William Godwin) ধরা হয়।

কেন তাকে জনক বলা হয়?

উইলিয়াম গডউইন একজন ইংরেজ দার্শনিক, লেখক এবং ঔপন্যাসিক ছিলেন। তার প্রধান কাজ হলো 'এনকোয়্যারি কনসার্নিং পলিটিক্যাল জাস্টিস' (Enquiry Concerning Political Justice), যা ১৭৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি আধুনিক নৈরাজ্যবাদের মূল ভিত্তি স্থাপন করেন। তার কিছু প্রধান ধারণা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • যুক্তির প্রাধান্য: গডউইন বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হতে সক্ষম। তিনি মনে করতেন, রাষ্ট্র বা অন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানুষ নিজেদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

  • সরকার ও সম্পত্তির বিরোধিতা: গডউইন প্রচলিত সরকার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণার বিরোধিতা করেন। তার মতে, সরকার মানুষের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি সমাজের অসমতা ও দুর্নীতি তৈরি করে।

  • পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে: তিনি এমন একটি সমাজের কল্পনা করেন যেখানে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না এবং মানুষ শুধুমাত্র যুক্তির দ্বারা চালিত হয়ে স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

গডউইনের এই বিপ্লবী চিন্তাভাবনা পরবর্তীতে নৈরাজ্যবাদের অন্যান্য প্রবক্তা, যেমন—পিটার ক্রোপটকিন এবং মিখাইল বাকুনিনকে প্রভাবিত করে। এই কারণেই তাকে নৈরাজ্যবাদের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।

Post a Comment

أحدث أقدم