এলোপ্যাথিক চিকিৎসার জনক কে

 এলোপ্যাথিক চিকিৎসার জনক কে


"অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা" একটি ঐতিহাসিক পরিভাষা, যা মূলত স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Samuel Hahnemann) নামক একজন জার্মান চিকিৎসক দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল। তিনি নিজেই হোমিওপ্যাথির জনক এবং অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার নামকরণ করেন প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে তার নিজের পদ্ধতিকে আলাদা করার জন্য।

সুতরাং,严格 অর্থে, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার কোনো একক "জনক" নেই, কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির দ্বারা সৃষ্ট বা উদ্ভাবিত হয়নি। বরং, এটি সময়ের সাথে সাথে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলস্বরূপ গড়ে ওঠা একটি চিকিৎসাব্যবস্থা।

তবে, যদি আমরা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে "অ্যালোপ্যাথি" হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে সেই অর্থে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হলেন হিপোক্রেটিস (Hippocrates)। কারণ, তিনিই প্রথম চিকিৎসা বিজ্ঞানকে কুসংস্কার ও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে আলাদা করে একটি পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে রূপ দেন।

সংক্ষেপে:

  • "অ্যালোপ্যাথি" শব্দটি যিনি তৈরি করেন: স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (হোমিওপ্যাথির জনক)।

  • আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক: হিপোক্রেটিস।

"এলোপ্যাথিক চিকিৎসা"র কোনো একক জনক নেই, কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির দ্বারা আবিষ্কৃত বা প্রতিষ্ঠিত কোনো পদ্ধতি নয়। বরং এটি যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞান, গবেষণা এবং বিভিন্ন চিকিৎসকের অবদানের মাধ্যমে বিকশিত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।

তবে মজার বিষয় হলো, 'এলোপ্যাথি' শব্দটি যিনি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন, তিনি ছিলেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, যিনি হোমিওপ্যাথির জনক।

কেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এই শব্দটি ব্যবহার করেন?

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Samuel Hahnemann) প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করার জন্য এই শব্দটি তৈরি করেন। 'এলোপ্যাথি' শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ থেকে:

  • 'allo' (ἄλλος) যার অর্থ 'অন্য' বা 'ভিন্ন'

  • 'pathos' (πάθος) যার অর্থ 'ভোগান্তি' বা 'রোগ'

অর্থাৎ, 'এলোপ্যাথি'র আক্ষরিক অর্থ হলো 'রোগের বিপরীত'। হ্যানিম্যান তার প্রবর্তিত 'হোমিওপ্যাথি' (যেখানে 'একই ধরনের জিনিস দিয়ে একই ধরনের রোগ নিরাময়' করা হয়) থেকে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিকে আলাদা করার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করেন। তার মতে, প্রচলিত চিকিৎসকেরা এমন ওষুধ ব্যবহার করতেন যা রোগের উপসর্গের বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

সুতরাং, যদিও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বা পশ্চিমা চিকিৎসাকে আমরা 'এলোপ্যাথি' বলে থাকি, এর কোনো একক জনক নেই। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিকশিত একটি প্রক্রিয়া।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন