সামষ্টিক অর্থনীতির জনক কে

 সামষ্টিক অর্থনীতির জনক কে


সামষ্টিক অর্থনীতির জনক হলেন জন মেনার্ড কেইনস (John Maynard Keynes)।

কেন তাকে সামষ্টিক অর্থনীতির জনক বলা হয়?

কেইনস ছিলেন একজন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ। ১৯২৯ সালের মহামন্দা (Great Depression) চলাকালীন সময়ে প্রচলিত অর্থনীতির তত্ত্বগুলো যখন মন্দা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়, তখন তিনি তার যুগান্তকারী গ্রন্থ 'দ্য জেনারেল থিওরি অব এমপ্লয়মেন্ট, ইন্টারেস্ট অ্যান্ড মানি' (The General Theory of Employment, Interest and Money) প্রকাশ করেন।

এই গ্রন্থে তিনি প্রথম সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ধারণাগুলো তুলে ধরেন। তার আগে অর্থনীতিবিদরা মূলত ক্ষুদ্র অর্থনীতির (microeconomics) ওপর জোর দিতেন, যা ব্যক্তি ও ফার্মের আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু কেইনস দেখান যে, সামগ্রিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি (যেমন: মোট উৎপাদন, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি) বোঝার জন্য একটি আলাদা দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

তার প্রধান অবদানগুলো হলো:

  • সরকারি হস্তক্ষেপের ধারণা: কেইনস যুক্তি দেন যে, অর্থনৈতিক মন্দার সময় বাজারে চাহিদা কমে যায় এবং সরকার যদি কর কমানো বা ব্যয় বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেয়, তবে অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হতে পারে। এই নীতি কেইনসীয় অর্থনীতি (Keynesian Economics) নামে পরিচিত।

  • মোট চাহিদা (Aggregate Demand): তিনি মোট চাহিদার ধারণা প্রবর্তন করেন এবং দেখান যে, এটি কীভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক কার্যকারিতা নির্ধারণ করে।

কেইনসের এই তত্ত্বগুলো আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তীকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

সামষ্টিক অর্থনীতির জনক হলেন জন মেনার্ড কেইনস (John Maynard Keynes)।

কেন কেইনসকে সামষ্টিক অর্থনীতির জনক বলা হয়?

বিশ শতকের প্রথম দিকে, অর্থনীতিবিদরা মূলত ক্ষুদ্র অর্থনীতির (microeconomics) ওপর মনোযোগ দিতেন, যেখানে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আচরণ বিশ্লেষণ করা হতো। ১৯২৯ সালের মহামন্দা (Great Depression) প্রচলিত এই তত্ত্বগুলোকে অকার্যকর প্রমাণ করে। এই পরিস্থিতিতে কেইনস তার যুগান্তকারী গ্রন্থ 'দ্য জেনারেল থিওরি অব এমপ্লয়মেন্ট, ইন্টারেস্ট অ্যান্ড মানি' (The General Theory of Employment, Interest and Money) প্রকাশ করেন ১৯৩৬ সালে।

এই গ্রন্থে তিনি অর্থনীতিকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেন এবং কিছু নতুন ধারণা প্রবর্তন করেন, যার মধ্যে প্রধানগুলো হলো:

  • সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি: কেইনস প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যেমন—মোট দেশজ উৎপাদন (GDP), মোট কর্মসংস্থান, এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করেন।

  • সরকারি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা: তিনি প্রমাণ করেন যে, মন্দার সময় মুক্তবাজার অর্থনীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বাড়াতে পারে না। বরং, সরকারের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত (যেমন—সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি বা কর হ্রাস) যাতে চাহিদা বাড়ে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হয়।

  • চাহিদার ভূমিকা: কেইনস দেখান যে, সামগ্রিক চাহিদা (aggregate demand) অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।

কেইনসের এই তত্ত্বগুলো আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তীকালে বহু দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলে। এ কারণে তাকে সামষ্টিক অর্থনীতির জনক বলা হয়।

Post a Comment

أحدث أقدم