জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক কে
ঐতিহাসিকভাবে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে কয়েকজন বিজ্ঞানীকে বিবেচনা করা হয়, তবে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিকোলাস কোপার্নিকাস (Nicolaus Copernicus)-কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কারণ:
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সৌরজগতের সূর্যকেন্দ্রিক মডেল (Heliocentric model) প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুযায়ী, সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে স্থির থাকে এবং পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। 🌍
তার এই যুগান্তকারী ধারণা প্রচলিত পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল (Geocentric model)-কে ভেঙে দেয়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
অনেক সময় গ্যালিলিও গ্যালিলি (Galileo Galilei)-কেও আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি দূরবীন ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেন এবং কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দেন।
তবে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম দিকের চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এমন কয়েকজন হলেন:
থেলিস (Thales): তিনিই প্রথম গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৫ অব্দে সূর্যগ্রহণের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
হিপ্পার্কাস (Hipparchus): প্রাচীন গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি তারাদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করেন।
<br>
আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক: নিকোলাস কোপার্নিকাস
এই ভিডিওটি কোপার্নিকাস এবং তার সূর্যকেন্দ্রিক মডেল নিয়ে আলোচনা করে, যা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিকোলাস কোপার্নিকাসকে (Nicolaus Copernicus) বিবেচনা করা হয়।
কোপার্নিকাস একজন পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ ছিলেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি "সৌরকেন্দ্রিক মডেল" (Heliocentric Model) প্রস্তাব করেন। তার এই মডেল অনুযায়ী, পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যের চারপাশে ঘোরে, যা সেই সময়ের প্রচলিত "ভূকেন্দ্রিক মডেল" (Geocentric Model)-এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। টলেমির ভূকেন্দ্রিক মডেল অনুযায়ী, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সূর্য ও অন্যান্য গ্রহগুলো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে। কোপার্নিকাসের এই ধারণা জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা পরবর্তীতে গ্যালিলিও, কেপলার এবং নিউটনের মতো বিজ্ঞানীদের গবেষণার পথ খুলে দেয়।
আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক: কোপার্নিকাস
এই ভিডিওটি কোপার্নিকাস এবং তার সূর্যকেন্দ্রিক মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়, যা তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন