উপযোগবাদের প্রতিষ্ঠাতা কে
উপযোগবাদ (Utilitarianism)-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইংরেজ দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক জেরেমি বেন্থাম।
তিনি এই মতবাদটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে প্রতিষ্ঠা করেন। উপযোগবাদের মূলনীতি হলো, কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত তখনই নৈতিকভাবে সঠিক, যখন তা সবচেয়ে বেশি মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ বা কল্যাণ নিশ্চিত করে। বেন্থামের এই ধারণাকেই উপযোগবাদের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, যা পরে জন স্টুয়ার্ট মিলসহ আরও অনেক দার্শনিক দ্বারা বিকশিত হয়।
উপযোগবাদ (Utilitarianism)-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইংরেজ দার্শনিক জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham)।
তিনি তার উপযোগবাদী দর্শনের মাধ্যমে এই নীতির ওপর জোর দেন যে, কোনো কাজের নৈতিকতা নির্ভর করে তা থেকে সৃষ্ট সুখ বা আনন্দ এবং দুঃখ বা কষ্টের পরিমাণের ওপর। এই মতবাদের মূলনীতি হলো "সর্বাধিক মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ" (greatest good for the greatest number)। বেন্থামের মতে, কোনো আইন, নীতি বা কর্ম তখনই নৈতিকভাবে সঠিক, যখন তা সমাজের অধিকাংশ মানুষের জন্য সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করে।
পরে, জন স্টুয়ার্ট মিল নামে আরেকজন বিখ্যাত দার্শনিক এই মতবাদকে আরও উন্নত করেন এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি শুধু সুখের পরিমাণ নয়, বরং সুখের গুণগত মানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।উপযোগবাদ (Utilitarianism)-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইংরেজ দার্শনিক জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham)।
তিনি অষ্টাদশ শতকে এই নৈতিক দর্শনটি প্রতিষ্ঠা করেন। উপযোগবাদের মূলনীতি হলো, কোনো কাজ বা নীতির নৈতিকতা তার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। যে কাজটি সবচেয়ে বেশি মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি সুখ বা কল্যাণ বয়ে আনে, সেটিই নৈতিকভাবে সঠিক কাজ। বেন্থাম তাঁর দর্শনে "গ্রেটেস্ট হ্যাপিনেস প্রিন্সিপল" (Greatest Happiness Principle) বা "সর্বাধিক সুখের নীতি"র ওপর জোর দেন।
পরবর্তীকালে, জন স্টুয়ার্ট মিল নামে আরেকজন ব্রিটিশ দার্শনিক উপযোগবাদকে আরও বিকশিত করেন এবং এর কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি সুখের পরিমাণের পাশাপাশি এর গুণগত মানের ওপরও জোর দেন, যা বেন্থামের মতবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন