উমাইয়া বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে
উমাইয়া খিলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমির মুয়াবিয়া (প্রথম মুয়াবিয়া)-কেই বিবেচনা করা হয়। যদিও উমাইয়া গোত্রের প্রভাব ইসলামের প্রথম দিক থেকেই ছিল, কিন্তু মুয়াবিয়ার মাধ্যমেই এই বংশ একটি স্বাধীন ও বংশানুক্রমিক রাজবংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কেন তাকে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়?
বংশানুক্রমিক শাসন: মুয়াবিয়া খোলাফায়ে রাশেদীন শাসনের পর বংশানুক্রমিক শাসনের প্রবর্তন করেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াজিদ খলিফা হন, যা উমাইয়াদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে স্থায়ী রূপ দেয়।
কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা: তিনি দামেস্ককে রাজধানী করে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় প্রশাসন গড়ে তোলেন। সিরিয়াকে কেন্দ্র করে তিনি তার ক্ষমতা সুসংহত করেন।
রাজনৈতিক সংহতি: হযরত আলী (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর মুসলিম বিশ্বে যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছিল, মুয়াবিয়া তার কূটনীতি ও সামরিক শক্তির মাধ্যমে তা দূর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনেন।
এসব কারণে, উমাইয়া বংশের ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন এবং এটিকে একটি স্থায়ী রাজবংশে পরিণত করার কৃতিত্ব মুয়াবিয়াকেই দেওয়া হয়।
উমাইয়া খিলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমির মুয়াবিয়া (প্রথম মুয়াবিয়া)-কেই বিবেচনা করা হয়। যদিও উমাইয়া গোত্রের প্রভাব ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই ছিল, মুয়াবিয়ার মাধ্যমেই এই বংশ একটি স্বাধীন রাজবংশ এবং খিলাফতের স্থায়ীরূপ লাভ করে।
তার এই ক্ষমতা গ্রহণের মূল কারণগুলো হলো:
রাজনৈতিক দূরদর্শিতা: মুয়াবিয়া ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দক্ষ একজন শাসক। তিনি সিরিয়ার গভর্নর হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে তার রাজনৈতিক ও সামরিক ভিত্তি সুসংহত করেন।
চতুর্থ খলিফার সঙ্গে সংঘাত: চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.)-এর সঙ্গে সিফফিনের যুদ্ধের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা মুয়াবিয়াকে খিলাফতের ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দেয়।
ক্ষমতা সুসংহতকরণ: হযরত আলী (রা.)-এর শাহাদাতের পর, মুয়াবিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে বংশানুক্রমিক শাসনের প্রবর্তন করেন, যা উমাইয়া বংশকে একটি প্রকৃত রাজবংশে পরিণত করে।
এই কারণে, ইতিহাসবিদরা মুয়াবিয়াকে উমাইয়া রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন