যে পুরুষ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে
যে পুরুষ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তাঁকে বাংলায় সাধারণভাবে বহুবিবাহকারী পুরুষ বা দ্বি-বিবাহকারী পুরুষ বলা যায়।
তবে, সামাজিক এবং আইনি প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি বিভিন্নভাবে দেখা হয়:
১. আইনি প্রেক্ষাপট (Legal Context)
বাংলাদেশ এবং ভারতের আইনি ব্যবস্থায়, ধর্মভেদে দ্বিতীয় বিবাহ বা বহুবিবাহের নিয়ম ও বৈধতা ভিন্ন।
মুসলিম আইন: মুসলিম পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেকেও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে দ্বিতীয় বিবাহ করার আইনি সুযোগ থাকে। তবে বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য সালিশি পরিষদের (Arbitration Council) অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, যা প্রথম স্ত্রীর প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আনা হয়েছে।
হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অনুযায়ী (যেসব দেশে হিন্দু বিবাহ আইন প্রচলিত), সাধারণত বহুবিবাহ অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ করলে তা আইনত বাতিল বলে গণ্য হয়।
২. সামাজিক ও নৈতিক প্রেক্ষাপট (Social and Ethical Context)
যে কোনো সমাজেই, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিবাহ করলে, সেই সম্পর্কটি সাধারণত অনৈতিক বা অসামাজিক বলে বিবেচিত হতে পারে, বিশেষত যদি প্রথম স্ত্রীর সম্মতি বা অনুমোদন না থাকে। একে প্রথম স্ত্রীর প্রতি প্রতারণা বা অবিশ্বাস হিসেবে দেখা হয়।
যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা আইনি প্রেক্ষাপটে এই বিষয়ে জানতে চান, তাহলে আরও নির্দিষ্ট করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যে পুরুষ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তাঁকে বাংলায় সাধারণভাবে বহুবিবাহকারী পুরুষ বা দ্বি-পত্নীক (Polygamist/Bigamist) বলা হয়।
এই ধরনের বিবাহকে বহুবিবাহ (Polygamy) বা নির্দিষ্টভাবে দ্বিবিবাহ (Bigamy) বলা হয়।
সামাজিক ও আইনি প্রেক্ষাপট
এই ধরনের বিয়ের বৈধতা এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা মূলত নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট আইন, ধর্ম এবং সংস্কৃতি-র ওপর।
১. ধর্মীয় প্রেক্ষাপট (ইসলাম)
ইসলাম ধর্মে বিশেষ কিছু শর্তসাপেক্ষে পুরুষকে একাধিক (সর্বোচ্চ চারজন) স্ত্রী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য কঠোর শর্তাবলী পূরণ করতে হয়, যেমন: সকল স্ত্রীর প্রতি সমানভাবে ন্যায়বিচার করা এবং তাঁদের ভরণপোষণ করার সক্ষমতা থাকা।
২. আইনি প্রেক্ষাপট (বাংলাদেশ ও ভারত)
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য: বাংলাদেশে এবং ভারতে হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ (অবৈধ)।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য (বাংলাদেশে): মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (The Muslim Family Laws Ordinance, 1961) অনুযায়ী, একজন মুসলিম পুরুষ প্রথম স্ত্রীর অনুমতি এবং স্থানীয় সালিশি পরিষদের (Arbitration Council) অনুমোদন ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারেন না। এই অনুমোদন ছাড়া বিবাহ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, যদিও বিবাহটি বাতিল হয় না।
যদি কোনো পুরুষ আইন বা ধর্মীয় রীতিনীতি লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় বিবাহ করেন, তবে তাঁকে আইনি জটিলতা ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন