ইবনে সিনার প্রতিষ্ঠাতা কে
ইবনে সিনা কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন পারসিক বহুবিদ্যাবিশারদ, যিনি মধ্যযুগের ইসলামি স্বর্ণযুগের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক হিসেবে পরিচিত।
তাঁর অবদান:
চিকিৎসাশাস্ত্র: ইবনে সিনা তার বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ "আল-কানুন ফি আল-তিব্ব" (The Canon of Medicine)-এর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই বইটি বহু শতক ধরে মুসলিম ও ইউরোপীয় বিশ্বে চিকিৎসা শিক্ষার প্রধান পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি এই গ্রন্থে সংক্রামক রোগ, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং স্নায়ু রোগের চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো তুলে ধরেন।
দর্শন: দর্শন শাস্ত্রেও তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি "কিতাব আল-শিফা" (The Book of Healing) নামে একটি বিশাল দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বকোষ রচনা করেন, যা এরিস্টটলীয় দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
ইবনে সিনা কেন আধুনিক চিকিৎসার জনক ?
এই ভিডিওটি ইবনে সিনার জীবন, দর্শন এবং আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর অবদানের ওপর আলোকপাত করে।.
ইবনে সিনা (পূর্ণ নাম: আবু আলী আল-হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সিনা) ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম বহুবিদ্যাবিশারদ, চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক। তিনি কোনো আধুনিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। বরং তিনি নিজেই চিকিৎসা, দর্শন, এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর অসংখ্য রচনা ও অবদানের জন্য বিখ্যাত।
তবে, বাংলাদেশে "ইবনে সিনা" নামে একটি স্বাস্থ্যসেবামূলক কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে, যা ইবনে সিনা ট্রাস্ট নামে পরিচিত। এই ট্রাস্টটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মীর কাসেম আলী। এই ট্রাস্টের অধীনে বেশ কিছু হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই ভিডিওটি বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ইবনে সিনার জীবনী, তার অবদান এবং তার কর্মজীবনের ওপর আলোকপাত করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন