ওরস্যালাইন এর আবিষ্কারক কে

 ওরস্যালাইন এর আবিষ্কারক কে


ওরস্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS)-এর আবিষ্কারের সাথে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম জড়িত, তবে এর প্রয়োগ ও জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যাদের নাম আসে তারা হলেন:

  • ড. দিলীপ কুমার মহলানবিশ (Dr. Dilip Kumar Mahalanabis): বাঙালি এই শিশু বিশেষজ্ঞকে ওরস্যালাইনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরে কলেরার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময় স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় তিনি সেখানে একটি সহজ মিশ্রণ—লবণ, গ্লুকোজ (চিনি) এবং জল—তৈরি করে রোগীদেরকে মুখে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই পদ্ধতি অভাবনীয়ভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয় এবং হাজার হাজার জীবন বাঁচায়। তার এই সাফল্যের পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই পদ্ধতির কার্যকারিতা স্বীকার করে এবং সারা বিশ্বে এর প্রচলন শুরু করে।

  • ড. রফিকুল ইসলাম: বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী আইসিডিডিআরবিতে (ICDDR,B) থাকাকালীন সময়ে ওরস্যালাইনের ফর্মুলা নিয়ে গবেষণা করেন এবং এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

  • ড. রিচার্ড ক্যাশ (Dr. Richard Cash): আমেরিকান জনস্বাস্থ্য গবেষক রিচার্ড ক্যাশও এই আবিষ্কারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি আইসিডিডিআরবিতে কাজ করার সময় ডায়রিয়ার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার স্যালাইনের কার্যকারিতা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অনেক ক্ষেত্রেই ড. দিলীপ কুমার মহলানবিশকে এর "জনক" বা প্রধান আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ তার হাতে-কলমে প্রয়োগ এবং বাস্তব জীবনের সাফল্যের পরই এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট এটিকে "বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের আবিষ্কার" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।.

ওরস্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS)-এর আবিষ্কারের সাথে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম জড়িত, তবে এর প্রয়োগ ও জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যাদের নাম আসে তারা হলেন:

  • ড. দিলীপ কুমার মহলানবিশ (Dr. Dilip Kumar Mahalanabis): বাঙালি এই শিশু বিশেষজ্ঞকে ওরস্যালাইনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরে কলেরার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময় স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় তিনি সেখানে একটি সহজ মিশ্রণ—লবণ, গ্লুকোজ (চিনি) এবং জল—তৈরি করে রোগীদেরকে মুখে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই পদ্ধতি অভাবনীয়ভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয় এবং হাজার হাজার জীবন বাঁচায়। তার এই সাফল্যের পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই পদ্ধতির কার্যকারিতা স্বীকার করে এবং সারা বিশ্বে এর প্রচলন শুরু করে।

  • ড. রফিকুল ইসলাম: বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী আইসিডিডিআরবিতে (ICDDR,B) থাকাকালীন সময়ে ওরস্যালাইনের ফর্মুলা নিয়ে গবেষণা করেন এবং এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

  • ড. রিচার্ড ক্যাশ (Dr. Richard Cash): আমেরিকান জনস্বাস্থ্য গবেষক রিচার্ড ক্যাশও এই আবিষ্কারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি আইসিডিডিআরবিতে কাজ করার সময় ডায়রিয়ার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার স্যালাইনের কার্যকারিতা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অনেক ক্ষেত্রেই ড. দিলীপ কুমার মহলানবিশকে এর "জনক" বা প্রধান আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ তার হাতে-কলমে প্রয়োগ এবং বাস্তব জীবনের সাফল্যের পরই এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট এটিকে "বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের আবিষ্কার" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন