ঔচিত্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা কে এই বিষয়ে তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম লেখো

 ঔচিত্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা কে এই বিষয়ে তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম লেখো


ঔচিত্যবাদ (Auccityavāda) ভারতীয় অলংকারশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত ক্ষেমেন্দ্র

তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম হলো 'ঔচিত্যবিচারচর্চা' (Auciyavicāracarcā)।

এই গ্রন্থে ক্ষেমেন্দ্র কাব্যের মূল উপাদান হিসেবে ঔচিত্যকে (অর্থাৎ, সামঞ্জস্য বা উপযুক্ততাকে) স্থাপন করেছেন। তিনি মনে করতেন, কাব্যে রস, অলংকার বা অন্য কোনো তত্ত্ব যতই থাকুক না কেন, যদি ঔচিত্যের অভাব থাকে, তবে সেই কাব্য সম্পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। তার মতে, ঔচিত্যই কাব্যের প্রাণ।

ঔচিত্যবাদ (औचित्यवाद) ভারতীয় অলংকারশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ক্ষেমেন্দ্র, যিনি একাদশ শতকের কাশ্মীরি একজন বহুবিদ্যাবিশারদ পণ্ডিত ছিলেন।

ক্ষেমেন্দ্র তার বিখ্যাত গ্রন্থ "ঔচিত্যবিচারচর্চা"-তে এই মতবাদটি সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। এই গ্রন্থে তিনি কাব্যের প্রধান উপাদান হিসেবে ঔচিত্যকে (অর্থাৎ, সামঞ্জস্য বা উপযুক্ততা) তুলে ধরেন এবং বলেন যে, ঔচিত্যই হলো কাব্যের মূল আকর্ষণ ও রসের প্রাণ। তার মতে, কাব্য-রচনার ক্ষেত্রে শব্দ, অর্থ, অলংকার, গুণ, রস, এবং চরিত্র—সবকিছুই একটি উপযুক্ত ও সংগতিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে, যা কাব্যকে সার্থক করে তোলে।ঔচিত্যবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত আচার্য ক্ষেমেন্দ্র (Kshemendra)

তিনি একাদশ শতাব্দীতে এই মতবাদকে ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রের একটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষেমেন্দ্র মনে করতেন, কাব্যের সৌন্দর্য বা চমৎকারিত্বের মূল ভিত্তি হলো ঔচিত্য বা উপযুক্ততা। এটি কেবল কাব্যের অলঙ্কার নয়, বরং এর প্রাণস্বরূপ।

তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম হলো 'ঔচিত্যবিচারচর্চা' (Auchityavicharacharcha)। এই গ্রন্থে তিনি কাব্য ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঔচিত্যের গুরুত্ব ও প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন