স্ত্রী নামাজ না পড়লে করণীয়

 স্ত্রী নামাজ না পড়লে করণীয়


স্ত্রী যদি নামাজ না পড়েন, তবে ইসলামী শরীয়ত এবং দাম্পত্য সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বামীর কিছু করণীয় রয়েছে। যেহেতু নামাজ ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলির অন্যতম, তাই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।

স্বামী হিসেবে আপনার প্রধান দায়িত্ব হলো ধৈর্য ও প্রজ্ঞা নিয়ে স্ত্রীকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনা। এই ক্ষেত্রে আপনার করণীয়কে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যেতে পারে:


প্রথম ধাপ: বোঝানো, ভালোবাসা ও উপদেশ (নমনীয় পদ্ধতি)

শুরুতেই কঠোর না হয়ে ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা দিয়ে বোঝান।

১. আন্তরিক আলোচনা: স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করুন। তাঁকে বোঝান যে নামাজ আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক (ফরজ) একটি ইবাদত এবং এটি ত্যাগ করলে আখিরাতে (পরকালে) কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

২. নরম ভাষায় উপদেশ: মনে করিয়ে দিন যে নামাজ হলো মুমিন ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। তবে কথা বলার সময় যেন তা ভয় দেখানো বা তিরস্কারের মতো না হয়, বরং একজন দরদী শুভাকাঙ্ক্ষীর মতো হয়।

৩. উৎসাহ দিন: নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা (যেমন—মানসিক শান্তি, দুশ্চিন্তা দূর হওয়া) সম্পর্কে বলুন। তাঁকে সুন্দর হিজাব, জায়নামাজ বা ইসলামী বই উপহার দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন।

৪. একসাথে ইবাদত: সম্ভব হলে, তাঁকে সাথে নিয়ে ঘরে জামাতে নামাজ পড়ুন। এছাড়া একসাথে ধর্মীয় আলোচনা করুন বা কোরআন তেলাওয়াত শুনুন।


দ্বিতীয় ধাপ: দূরত্ব সৃষ্টি ও সতর্কীকরণ (কিছুটা কঠোর পদ্ধতি)

যদি বোঝানোর পরও স্ত্রী নামাজে মনোযোগ না দেন, তবে আপনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন, যা তিনি যেন তাঁর ভুল বুঝতে পারেন।

১. শয্যাগত দূরত্ব: আল্লাহ কোরআনে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধনের জন্য যে তিনটি ধাপের কথা বলেছেন (নামাজ ত্যাগের ক্ষেত্রেও কিছু আলেম যা প্রয়োগের পরামর্শ দেন), তার একটি হলো শোভন দূরত্ব বজায় রাখা। এর অর্থ—স্ত্রীর সাথে কথা বলা বা তার অধিকার নষ্ট না করে, সাময়িকভাবে তার সাথে একই বিছানায় না শোয়া বা দূরত্ব বজায় রাখা। এটি যেন তার প্রতি কোনো মানসিক শাস্তি না হয়, বরং তার ভুল বুঝতে পারার একটি সুযোগ হয়।

২. পরিবারের হস্তক্ষেপ: স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের পরিবারের জ্ঞানী এবং ধর্মভীরু মুরব্বিদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করুন। তাঁদের মাধ্যমে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।


তৃতীয় ধাপ: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (সর্বশেষ উপায়)

যদি সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং স্ত্রী নামাজকে অবজ্ঞা করে চলতে থাকেন, তবে বিষয়টি গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়।

১. আলেম/মুফতির পরামর্শ: এই অবস্থায় স্বামীকে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আলেম বা মুফতির পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, কিছু আলেম ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগকারীকে ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া (মুরতাদ) ব্যক্তির সমতুল্য মনে করেন।

২. তালাকের প্রশ্ন: যদি স্ত্রী কোনোভাবেই নামাজ পড়তে সম্মত না হন, তবে স্বামী তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। কারণ, একজন বেনামাজি স্ত্রীর সাথে সংসার করা একজন ধর্মভীরু স্বামীর জন্য অত্যন্ত কঠিন। তবে এই সিদ্ধান্তটি অবশ্যই খুব ভেবেচিন্তে এবং শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নিয়ে নেওয়া উচিত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়:

স্বামী হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো নিজের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা এবং স্ত্রীর জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করা। হেদায়েত দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আপনার কাজ হলো তাকে সঠিক পথ দেখানো, জোর করা নয়।

স্ত্রী যদি নামাজ না পড়েন, তবে ইসলামী শরীয়ত এবং দাম্পত্য সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বামীর কিছু করণীয় রয়েছে। যেহেতু নামাজ ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলির অন্যতম, তাই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।

স্বামী হিসেবে আপনার প্রধান দায়িত্ব হলো ধৈর্য ও প্রজ্ঞা নিয়ে স্ত্রীকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনা। এই ক্ষেত্রে আপনার করণীয়কে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যেতে পারে:


প্রথম ধাপ: বোঝানো, ভালোবাসা ও উপদেশ (নমনীয় পদ্ধতি)

শুরুতেই কঠোর না হয়ে ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা দিয়ে বোঝান।

১. আন্তরিক আলোচনা: স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করুন। তাঁকে বোঝান যে নামাজ আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক (ফরজ) একটি ইবাদত এবং এটি ত্যাগ করলে আখিরাতে (পরকালে) কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

২. নরম ভাষায় উপদেশ: মনে করিয়ে দিন যে নামাজ হলো মুমিন ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। তবে কথা বলার সময় যেন তা ভয় দেখানো বা তিরস্কারের মতো না হয়, বরং একজন দরদী শুভাকাঙ্ক্ষীর মতো হয়।

৩. উৎসাহ দিন: নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা (যেমন—মানসিক শান্তি, দুশ্চিন্তা দূর হওয়া) সম্পর্কে বলুন। তাঁকে সুন্দর হিজাব, জায়নামাজ বা ইসলামী বই উপহার দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন।

৪. একসাথে ইবাদত: সম্ভব হলে, তাঁকে সাথে নিয়ে ঘরে জামাতে নামাজ পড়ুন। এছাড়া একসাথে ধর্মীয় আলোচনা করুন বা কোরআন তেলাওয়াত শুনুন।


দ্বিতীয় ধাপ: দূরত্ব সৃষ্টি ও সতর্কীকরণ (কিছুটা কঠোর পদ্ধতি)

যদি বোঝানোর পরও স্ত্রী নামাজে মনোযোগ না দেন, তবে আপনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন, যা তিনি যেন তাঁর ভুল বুঝতে পারেন।

১. শয্যাগত দূরত্ব: আল্লাহ কোরআনে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধনের জন্য যে তিনটি ধাপের কথা বলেছেন (নামাজ ত্যাগের ক্ষেত্রেও কিছু আলেম যা প্রয়োগের পরামর্শ দেন), তার একটি হলো শোভন দূরত্ব বজায় রাখা। এর অর্থ—স্ত্রীর সাথে কথা বলা বা তার অধিকার নষ্ট না করে, সাময়িকভাবে তার সাথে একই বিছানায় না শোয়া বা দূরত্ব বজায় রাখা। এটি যেন তার প্রতি কোনো মানসিক শাস্তি না হয়, বরং তার ভুল বুঝতে পারার একটি সুযোগ হয়।

২. পরিবারের হস্তক্ষেপ: স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের পরিবারের জ্ঞানী এবং ধর্মভীরু মুরব্বিদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করুন। তাঁদের মাধ্যমে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।


তৃতীয় ধাপ: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (সর্বশেষ উপায়)

যদি সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং স্ত্রী নামাজকে অবজ্ঞা করে চলতে থাকেন, তবে বিষয়টি গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়।

১. আলেম/মুফতির পরামর্শ: এই অবস্থায় স্বামীকে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আলেম বা মুফতির পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, কিছু আলেম ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগকারীকে ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া (মুরতাদ) ব্যক্তির সমতুল্য মনে করেন।

২. তালাকের প্রশ্ন: যদি স্ত্রী কোনোভাবেই নামাজ পড়তে সম্মত না হন, তবে স্বামী তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। কারণ, একজন বেনামাজি স্ত্রীর সাথে সংসার করা একজন ধর্মভীরু স্বামীর জন্য অত্যন্ত কঠিন। তবে এই সিদ্ধান্তটি অবশ্যই খুব ভেবেচিন্তে এবং শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নিয়ে নেওয়া উচিত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়:

স্বামী হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো নিজের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা এবং স্ত্রীর জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করা। হেদায়েত দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আপনার কাজ হলো তাকে সঠিক পথ দেখানো, জোর করা নয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন