বংশগতির জনক কে

 বংশগতির জনক কে


বংশগতির জনক হলেন গ্রেগর জোহান মেন্ডেল (Gregor Johann Mendel)

মেন্ডেল ছিলেন একজন অস্ট্রীয় ধর্মযাজক এবং বিজ্ঞানী। তিনি ১৮৬০-এর দশকে মটরশুঁটি গাছের ওপর গবেষণা করে বংশগতির মৌলিক নিয়মগুলো আবিষ্কার করেন। তার এই গবেষণাগুলোকেই বংশগতিবিদ্যার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। মেন্ডেলের কাজগুলো প্রায় ৩৫ বছর ধরে অবহেলিত ছিল, কিন্তু ১৯০০ সালের দিকে অন্য বিজ্ঞানীরা তার কাজ পুনরায় আবিষ্কার করলে তার গুরুত্ব প্রমাণিত হয় এবং তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার তিনটি প্রধান সূত্র, যা মেন্ডেলের সূত্র নামে পরিচিত, আধুনিক জেনেটিক্সের মূল ভিত্তি।

মেন্ডেলের আবিষ্কারগুলো জিন, উত্তরাধিকার এবং জীবের বৈশিষ্ট্য কীভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়, সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে।

বংশগতির জনক হলেন গ্রেগর জোহান মেন্ডেল (Gregor Johann Mendel)

মেন্ডেল ছিলেন একজন অস্ট্রীয় ধর্মযাজক এবং বিজ্ঞানী। তিনি ১৮৬০-এর দশকে মটরশুঁটি গাছের ওপর গবেষণা করে বংশগতির মৌলিক নিয়মগুলো আবিষ্কার করেন। তার কাজগুলো থেকেই বংশগতিবিদ্যা (Genetics) নামক বিজ্ঞানের নতুন একটি শাখার জন্ম হয়।

মেন্ডেলের তিনটি প্রধান সূত্র হলো:

১. পৃথকীকরণের সূত্র (Law of Segregation): প্রতিটি জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি অ্যালিল (allele) থাকে, যা জনন কোষ (gamete) গঠনের সময় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।

২. স্বাধীন বন্টনের সূত্র (Law of Independent Assortment): যখন দুটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বংশগতি ঘটে, তখন প্রতিটি বৈশিষ্ট্য স্বাধীনভাবে অন্যটির থেকে পৃথক হয় এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে বন্টিত হয়।

৩. প্রকটতার সূত্র (Law of Dominance): ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের দুটি অ্যালিলের মধ্যে একটি প্রকট (dominant) থাকে এবং অন্যটি প্রচ্ছন্ন (recessive)। প্রকট অ্যালিলটিই জীবের মধ্যে প্রকাশিত হয়।

মেন্ডেলের এই সূত্রগুলো আধুনিক বংশগতিবিদ্যার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। তার কাজকে সম্মান জানিয়ে তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন