অদ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা কে
অদ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আদি শঙ্করাচার্য। তিনি অষ্টম শতাব্দীতে এই দর্শনকে সুসংহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
যদিও অদ্বৈতবাদের মূল ধারণা উপনিষদগুলোতে পাওয়া যায়, আদি শঙ্কর এটিকে একটি পরিপূর্ণ দার্শনিক মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই দর্শন অনুযায়ী, একমাত্র ব্রহ্মই সত্য এবং এই দৃশ্যমান জগৎ মিথ্যা বা মায়া। তিনি আত্মা (জীবাত্মা) এবং ব্রহ্মের (পরমাত্মা) অভিন্নতার কথা প্রচার করেন।
আদি শঙ্কর চারটি মঠ স্থাপন করেন (শৃঙ্গেরি, পুরী, দ্বারকা, এবং যোশীমঠ), যা আজও তার অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের প্রচার ও প্রসারের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
অদ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আদি শঙ্করাচার্য। যদিও অদ্বৈতবাদের মূল ধারণাটি প্রাচীন উপনিষদগুলোতে পাওয়া যায়, আদি শঙ্করাচার্যই অষ্টম শতকে এই দর্শনকে সুসংহত এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।
অদ্বৈতবাদের মূল কথা হলো, 'ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা'। অর্থাৎ, একমাত্র ব্রহ্মই পরম সত্য, এবং এই দৃশ্যমান জগৎ হলো মায়া বা ভ্রম। জীবাত্মা (ব্যক্তির আত্মা) এবং পরমাত্মা (ব্রহ্ম) মূলত অভিন্ন। এই দুইয়ের মধ্যে কোনো ভেদ নেই, যা আছে তা কেবল অজ্ঞানতা বা মায়ার কারণে তৈরি হয়েছে।অদ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আদি শঙ্করাচার্য।
তিনি অষ্টম শতাব্দীতে এই দর্শনটি প্রতিষ্ঠা করেন, যা বেদান্ত দর্শনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। অদ্বৈতবাদের মূল কথা হলো, "একমাত্র ব্রহ্মই সত্য, জগৎ মিথ্যা এবং জীব ও ব্রহ্ম অভিন্ন।" অর্থাৎ, আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে কোনো ভেদ নেই, উভয়ই এক ও অভিন্ন।
তবে, এটাও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, শঙ্করাচার্য এই মতবাদের সম্পূর্ণ প্রবর্তক ছিলেন না। তাঁর আগেও কিছু অদ্বৈতবাদী ধারণা প্রচলিত ছিল, যেমন তাঁর পরমগুরু গৌড়পাদ। কিন্তু শঙ্করাচার্যই এই দর্শনকে একটি সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং তাঁর ভাষ্য ও রচনাগুলোর মাধ্যমে এটিকে ব্যাপক প্রচার করেন। এই কারণেই তাকে অদ্বৈতবাদের প্রধান প্রবক্তা বা প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন