চিকিৎসার জনক কে

 



চিকিৎসার জনক কে

হিপোক্রেটিসকে চিকিৎসার জনক বলার কারণগুলো হলো:


* **চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি স্থাপন:** তার আগে রোগকে প্রায়শই অতিপ্রাকৃত বা দৈব ঘটনা হিসেবে দেখা হতো। হিপোক্রেটিসই প্রথম রোগকে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা এবং যুক্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।

* **নৈতিকতার ধারণা:** তিনি চিকিৎসকদের জন্য একটি নৈতিক আদর্শ স্থাপন করেন, যা আজও প্রচলিত। এর সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ হলো "হিপোক্রেটিক শপথ" (Hippocratic Oath), যেখানে চিকিৎসকদের রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা এবং তাদের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করার শপথ নিতে হয়।

* **রোগের কার্যকারণ তত্ত্ব:** তিনি বিশ্বাস করতেন যে রোগ শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে এবং এর কারণ প্রাকৃতিক।


তবে, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব আছেন, যেমন **লুই পাস্তুর** এবং **জোসেফ লিস্টার**, যাদের অবদানও অনস্বীকার্য। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে, হিপোক্রেটিসকেই চিকিৎসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সম্মান জানানো হয়।


চিকিৎসার জনক হিসেবে **হিপোক্রেটিস** (Hippocrates)-কে বিবেচনা করা হয়।


তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক ছিলেন এবং তার সময়ে চিকিৎসার পদ্ধতিকে কুসংস্কার ও জাদুবিদ্যা থেকে মুক্ত করে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার নামেই 'হিপোক্রেটিক ওথ' (Hippocratic Oath) প্রচলিত, যা চিকিৎসকদের নৈতিক আদর্শ হিসেবে পরিচিত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন