আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে এবং কেন
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হলেন চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)।
তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় কারণ:
ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine): ১৮২২ সালে তিনি "ডিফারেন্স ইঞ্জিন" নামে একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন। এটি ছিল একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর, যা গণনার কাজ করতে পারতো। এটি আজকের কম্পিউটারের একটি প্রাথমিক রূপ।
অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine): ১৮৩০ সালে তিনি "অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন" নামে আরও উন্নত একটি যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন। এই যন্ত্রে এমন কিছু মৌলিক ধারণা ছিল যা আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি। যেমন:
ইনপুট ডিভাইস (Input Device): এতে পাঞ্চ কার্ড ব্যবহারের ধারণা ছিল, যা আজকের কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদির মতো কাজ করে।
প্রসেসিং ইউনিট (Processing Unit): এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাণিতিক কাজ সম্পাদন করতে পারতো, যা আজকের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এর ধারণার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মেমরি বা স্টোরেজ (Memory or Storage): এতে তথ্য জমা রাখার ব্যবস্থা ছিল, যা আজকের কম্পিউটারের মেমরির মতো।
প্রোগ্রামেবল (Programmable): এই যন্ত্রকে প্রোগ্রামিং করা যেত, যা আধুনিক কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। চার্লস ব্যাবেজের সহযোগী অ্যাডা লাভলেস (Ada Lovelace) অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখেন।
যদিও চার্লস ব্যাবেজ তার জীবদ্দশায় তার তৈরি করা এই যন্ত্রগুলো সম্পূর্ণভাবে তৈরি করে যেতে পারেননি, তবে তার পরিকল্পনা এবং ডিজাইনই আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি স্থাপন করে। তাই তাকে "কম্পিউটারের জনক" বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে চার্লস ব্যাবেজকে (Charles Babbage) গণ্য করা হয়।
কেন তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়?
চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলার মূল কারণ হলো, তিনি প্রথম একটি প্রোগ্রামেবল কম্পিউটার তৈরির ধারণা দিয়েছিলেন এবং তার নকশা করেছিলেন। যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি তার এই যন্ত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে তৈরি করে যেতে পারেননি, তার নকশাগুলোই আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি স্থাপন করে।
তার দুটি উল্লেখযোগ্য যন্ত্র হলো:
১. ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine): এটি একটি স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর, যা গাণিতিক সারণি (mathematical tables) গণনা করার জন্য নকশা করা হয়েছিল।
২. অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine): এটি ছিল আরও উন্নত একটি যন্ত্র। এটিই মূলত আধুনিক কম্পিউটারের মূল ধারণাগুলো ধারণ করত। এর নকশায় যে উপাদানগুলো ছিল, তা আজকের কম্পিউটারেও দেখা যায়:
অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট (ALU): এটি গাণিতিক ও যৌক্তিক গণনা করত।
নিয়ন্ত্রণ কাঠামো (Control Unit): এটি যন্ত্রের বিভিন্ন অংশকে নির্দেশ দিত।
স্মৃতি (Memory): এটি তথ্য এবং প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করত।
ইনপুট ও আউটপুট পদ্ধতি (Input/Output): এটি যন্ত্রে ডেটা প্রবেশ এবং ফলাফল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করত।
এই অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনই ছিল প্রথম যন্ত্র, যা কোনো প্রোগ্রামের নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে পারত। চার্লস ব্যাবেজের এই বিপ্লবী ধারণাগুলো পরবর্তী সময়ে আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরির পথ খুলে দেয়। তাই তাকে "কম্পিউটারের জনক" উপাধি দেওয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন