মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস কোন পাশে হয়
অ্যাপেন্ডিসাইটিস নারী বা পুরুষ নির্বিশেষে, সাধারণত পেটের ডান দিকের নিচের অংশে হয়ে থাকে। অ্যাপেন্ডিক্স নামক ছোট থলিটি বৃহদন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে এবং এটি সাধারণত এই স্থানেই অবস্থিত।
তবে, এর ব্যথার ধরন ও স্থান পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, ব্যথা প্রথমে নাভির চারপাশে শুরু হয় এবং কয়েক ঘণ্টা পর ডান দিকের নিচের অংশে সরে যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ দিক
মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলো অনেক সময় অন্য কিছু রোগের সাথে মিলে যায়। যেমন:
ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Ovarian cyst): ডিম্বাশয়ে সিস্ট হলে পেটের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে, যা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার মতো মনে হতে পারে।
জরায়ুর সংক্রমণ (Pelvic Inflammatory Disease): এই রোগেও তলপেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
এই কারণে, মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা কখনও কখনও একটু কঠিন হতে পারে। যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারো এমন লক্ষণ দেখা যায়, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মেয়েদের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত পেটের ডান দিকের নিচের অংশে হয়। তবে, এই ব্যথা শুরুটা হতে পারে পেটের মাঝখানে, নাভির আশেপাশে। কয়েক ঘণ্টা পর ব্যথাটা ডান দিকের নিচের অংশে গিয়ে স্থির হয় এবং তীব্র হতে থাকে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণসমূহ
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
ব্যথার ধরন: প্রথমে পেটের মাঝখানে ব্যথা শুরু হয়, যা পরে ডান দিকের নিচের অংশে চলে যায়। নড়াচড়া, কাশি বা হাঁচি দিলে এই ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।
বমি বমি ভাব ও বমি: পেটে ব্যথার পাশাপাশি বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।
খাবারে অনীহা: ক্ষুধা কমে যাওয়া বা খেতে ইচ্ছে না হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ।
জ্বর: হালকা জ্বর থাকতে পারে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
পেট ফোলা ও গ্যাস: পেটে ফোলাভাব এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে, ডিম্বাশয় বা প্রজননতন্ত্রের অন্যান্য সমস্যার কারণেও একই ধরনের ব্যথা হতে পারে, তাই সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী এবং কেন হয়? কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
এই ভিডিওটিতে অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী, কেন হয় এবং কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন