থ্রি পিস পরা গ্রামের মেয়েদের পিক
থাইরয়েড হলে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের মাত্রা কম বা বেশি হলে এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডের প্রধান দুটি সমস্যা হলো:
হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম।
হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism): থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ বেশি।
হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) হলে যে সমস্যাগুলো হয়
যদি থাইরয়েড হরমোন কম নিঃসৃত হয়, তাহলে সাধারণত এই সমস্যাগুলো দেখা যায়:
ওজন বৃদ্ধি: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন বাড়তে থাকে, এমনকি খাবার কম খেলেও।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা: সবসময় খুব ক্লান্ত ও দুর্বল লাগা। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার পরেও এই ক্লান্তিভাব দূর হয় না।
ঠান্ডা লাগা: শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং সহজেই ঠান্ডা লাগে।
চুল পড়া: চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং বেশি করে চুল পড়তে থাকে।
ত্বকের সমস্যা: ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ এবং খসখসে হয়ে যায়।
মাসিক অনিয়মিত হওয়া: মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে বা অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
মানসিক সমস্যা: বিষণ্ণতা, ভুলে যাওয়া এবং মনোযোগের অভাব দেখা যায়।
হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism) হলে যে সমস্যাগুলো হয়
যদি থাইরয়েড হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়, তাহলে এই লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে:
ওজন কমে যাওয়া: পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও হঠাৎ করে ওজন কমতে থাকে।
অতিরিক্ত ঘাম: খুব বেশি ঘাম হওয়া এবং গরম লাগা।
হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি: হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় বা বুক ধড়পড় করে।
অস্থিরতা: হাত কাঁপা এবং অস্থিরতা অনুভব করা।
ঘুমের সমস্যা: রাতে ভালো ঘুম না হওয়া।
মাসিক অনিয়মিত হওয়া: মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চোখের সমস্যা: চোখ কোটর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
যদি আপনার এসব লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি দেখা যায়, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। থাইরয়েড সমস্যা সহজে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা সম্ভব।
থাইরয়েড হলে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। থাইরয়েড মূলত দুই ধরনের হয়: হাইপোথাইরয়েডিজম (যখন থাইরয়েড গ্রন্থি যথেষ্ট হরমোন তৈরি করে না) এবং হাইপারথাইরয়েডিজম (যখন এটি অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে)। উভয় অবস্থাই মেয়েদের শরীরে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।
হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)-এর সাধারণ লক্ষণ
যখন থাইরয়েড হরমোন কম থাকে, তখন শরীরের বিপাক ক্রিয়া (metabolism) ধীর হয়ে যায়। এর ফলে মেয়েদের মধ্যে নিচের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে:
ওজন বৃদ্ধি: স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া সত্ত্বেও ওজন বাড়তে থাকে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা: সারাক্ষণ শরীর ম্যাজম্যাজ করা এবং দুর্বল লাগা।
ঠান্ডা অসহ্য হওয়া: সামান্য ঠান্ডাতেও খুব বেশি কষ্ট হয়।
শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া: ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে।
অনিয়মিত মাসিক: পিরিয়ড অনিয়মিত বা খুব বেশি হতে পারে।
বিষণ্ণতা ও মনোযোগের অভাব: মেজাজ খারাপ থাকা, বিষণ্ণতা এবং কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা হওয়া।
হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism)-এর সাধারণ লক্ষণ
যখন থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকে, তখন শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব দ্রুত হয়। এর ফলে নিচের সমস্যাগুলো দেখা যায়:
ওজন হ্রাস: পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও ওজন কমে যাওয়া।
হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি: বুক ধড়ফড় করা বা হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া।
অতিরিক্ত ঘাম: সামান্য পরিশ্রমে বা গরমে বেশি ঘাম হওয়া।
উদ্বেগ ও অস্থিরতা: সবসময় নার্ভাস বা অস্থির বোধ করা।
হাতের কাঁপুনি: হাত কাঁপা এবং অস্থির বোধ করা।
ঘুমের সমস্যা: রাতে সহজে ঘুম না আসা।
থাইরয়েড এবং প্রজনন স্বাস্থ্য
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি মাসিক চক্রকে অনিয়মিত করতে পারে এবং ডিম্বাণু নিঃসরণে (ovulation) বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে গর্ভধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যদি আপনার ওপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি দীর্ঘ দিন ধরে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিলে থাইরয়েডের সমস্যাগুলো সহজেই সামলানো যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন