মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত
ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হলে কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিত, আবার কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে, ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ নির্ণয় করা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এই সমস্যা অনেক সময় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এখানে কিছু খাবার ও পানীয়ের তালিকা দেওয়া হলো যা ঘন ঘন প্রস্রাব হলে খাওয়া যেতে পারে এবং যা এড়িয়ে চলা উচিত:
যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত:
ক্র্যানবেরি জুস: ক্র্যানবেরি জুস ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রাশয়ের দেয়ালে আটকে থাকতে বাধা দেয়, ফলে প্রস্রাবের সমস্যা কমে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফল, সবজি, শস্য এবং ডাল জাতীয় খাবারে প্রচুর ফাইবার থাকে। এই খাবারগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, যা মূত্রাশয়ের ওপর চাপ কমায়।
প্রচুর পানি: ঘন ঘন প্রস্রাব হলে অনেকে পানি খাওয়া কমিয়ে দেন, যা ভুল। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে প্রস্রাব পাতলা হয় এবং কিডনি সহজে বর্জ্য পদার্থ বের করতে পারে। এটি মূত্রাশয়ের জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
তুলসী: তুলসী পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে যা ইউটিআই-এর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। মধু মিশিয়ে তুলসী পাতা খেতে পারেন।
জিরা: জিরা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। জিরা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে উপকার পেতে পারেন।
কুমড়ার বীজ ও তিলের বীজ: এই ধরনের বীজগুলোতে এমন পুষ্টি উপাদান থাকে যা মূত্রাশয়ের প্রদাহ কমাতে এবং এর কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
যে খাবার ও পানীয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত:
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: কফি, চা এবং কিছু কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং মূত্রাশয়ের পেশিকে উত্তেজিত করে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল একটি ডাইউরেটিক (diuretic) বা মূত্রবর্ধক পানীয়, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়।
কার্বনেটেড পানীয়: সোডা বা অন্যান্য কার্বনেটেড পানীয় মূত্রাশয়ে চাপ তৈরি করতে পারে।
অ্যাসিডিক ফল ও খাবার: টমেটো, কমলালেবু, আঙুর ও মুসাম্বি জাতীয় ফল এবং এ থেকে তৈরি খাবার মূত্রাশয়ের জ্বালা বাড়াতে পারে।
মশলাদার খাবার: অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার মূত্রাশয়ের জ্বালা বা প্রস্রাবের সমস্যা বাড়াতে পারে।
চিনি এবং কৃত্রিম চিনি: চিনি এবং কৃত্রিম চিনি উভয়ই মূত্রাশয়ের পেশিকে উত্তেজিত করতে পারে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
এই সমস্যা দেখা দিলে সবার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এর পেছনের কারণ জানা থাকলে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা সহজ হবে।
মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI), ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত তরল পান করা, গর্ভাবস্থা বা পেলভিক ফ্লোরের দুর্বলতা। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী হতে পারে। তবে, মনে রাখতে হবে যে, যদি এই সমস্যা গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যেসব খাবার খাওয়া উচিত:
ক্র্যানবেরি জুস: ক্র্যানবেরি জুস মূত্রাশয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রাশয়ের দেওয়ালে আটকে যেতে বাধা দেয়।
পর্যাপ্ত পানি: ঘন ঘন প্রস্রাব হলেও পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এটি প্রস্রাবকে পাতলা রাখে, যার ফলে কিডনি থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজে বেরিয়ে যায় এবং মূত্রাশয়ের ওপর চাপ কমে।
আঁশযুক্ত খাবার: ফল, সবজি, এবং শস্যজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। এই খাবারগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, যা মূত্রাশয়ের ওপর থেকে চাপ কমাতে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজে থাকা পুষ্টিগুণ মূত্রাশয়ের প্রদাহ কমাতে এবং এর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
তুলসী ও জিরা: তুলসী ও জিরা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর। তুলসী পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে বা জিরা সেদ্ধ করা পানি পান করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত:
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: কফি, চা এবং কিছু সোডাযুক্ত পানীয় মূত্রবর্ধক (Diuretic) হিসেবে কাজ করে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহলও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়, তাই এটি এড়িয়ে চলা ভালো।
অ্যাসিডিক খাবার: টমেটো, লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল মূত্রাশয়ে জ্বালাপোড়া বাড়াতে পারে।
চিনি ও কৃত্রিম চিনি: অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি মূত্রাশয়ের পেশিকে উত্তেজিত করতে পারে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।
মশলাদার খাবার: খুব বেশি মশলাযুক্ত খাবার মূত্রাশয়ে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি, রাতে ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত তরল পান করা থেকে বিরত থাকা এবং প্রস্রাব চেপে না রাখার মতো অভ্যাসগুলোও মেনে চলা উচিত। যদি এই সমস্যা চলতে থাকে, তাহলে সঠিক কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন