মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কোনো ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, ওজন কমানোর ঔষধ সবার জন্য উপযুক্ত নয় এবং ভুল ঔষধ সেবনে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। একজন ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ নির্ণয় করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
সাধারণত, ওজন কমানোর জন্য ডাক্তাররা যেসব ঔষধের পরামর্শ দেন, সেগুলো হলো:
অরলিস্ট্যাট (Orlistat)
এটি এমন একটি ঔষধ যা খাদ্য থেকে চর্বি শোষণ হতে বাধা দেয়। এই ঔষধটি সরাসরি অন্ত্রে কাজ করে এবং হজমকারী এনজাইম (লাইপেজ) কে ব্লক করে। ফলে, খাবারের সাথে গ্রহণ করা প্রায় ৩০% চর্বি শরীর শোষণ করতে পারে না এবং মলত্যাগের মাধ্যমে তা বেরিয়ে যায়।
কার্যকারিতা: এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন বেড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: যেহেতু এটি চর্বি শোষণ কমায়, তাই কিছু ক্ষেত্রে পেটে গ্যাস, তৈলাক্ত মল এবং ঘন ঘন মলত্যাগের মতো সমস্যা হতে পারে।
এই ঔষধটি তখনই কার্যকর হয় যখন এর সাথে স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালরির খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চার একটি রুটিন মেনে চলা হয়।
কখন ঔষধ সেবন করা উচিত?
ডাক্তাররা সাধারণত তখনই ওজন কমানোর ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেন যখন:
আপনার BMI (বডি মাস ইনডেক্স) ৩০-এর বেশি হয় (স্থূলতা)।
আপনার BMI ২৭-এর বেশি হয় এবং তার সাথে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যর্থ হন।
ঔষধ ছাড়া ওজন কমানোর নিরাপদ উপায়
দ্রুত এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে ওজন কমানোর জন্য ঔষধের চেয়ে জীবনযাত্রার পরিবর্তনই বেশি কার্যকর। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো:
সুষম খাদ্য: প্রোটিন (ডিম, মাছ, মুরগির মাংস), শাকসবজি, ফল এবং শস্য জাতীয় খাবার বেশি করে খান। চিনিযুক্ত খাবার ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত জল পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করলে বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয় এবং পেট ভরা মনে হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০-৬০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা অন্য যেকোনো শারীরিক পরিশ্রম করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম: নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
কোনো ঔষধ সেবনের আগে, আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে এবং নিরাপদ উপায় জানতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলা অত্যন্ত জরুরি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন