ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল কয়টি

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল কয়টি



মেয়েদের তলপেটের বাম পাশে ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ সাধারণ এবং গুরুতর নয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে এটি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। ব্যথার কারণ বোঝার জন্য ব্যথার ধরন এবং এর সাথে থাকা অন্যান্য উপসর্গগুলো জানা জরুরি।

সাধারণ কারণসমূহ:

  • মাসিকের ব্যথা (Menstrual cramps): এটি মেয়েদের তলপেটে ব্যথার একটি খুব সাধারণ কারণ। মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন এই ব্যথার সৃষ্টি করে।

  • ডিম্বস্ফোটন ব্যথা (Ovulation pain): মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে যখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়, তখন কিছু নারীর তলপেটে ব্যথা হতে পারে। একে 'মিটেলস্মার্টজ' (mittelschmerz) বলা হয়।

  • গ্যাস বা বদহজম: খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেটে গ্যাস জমে বা বদহজম হলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণত তীব্র হয় না এবং অল্প সময় পরে কমে যায়।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য: মলত্যাগে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেটে চাপ বেড়ে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত গুরুতর কারণসমূহ:

  • ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Ovarian cyst): ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যদি সিস্টটি ফেটে যায় বা প্যাঁচ খেয়ে যায়, তাহলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে এবং এটি একটি জরুরি অবস্থা।

  • এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis): এই রোগে জরায়ুর আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়, যা তীব্র পেটে ব্যথা এবং অন্যান্য লক্ষণ সৃষ্টি করে।

  • পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID): এটি প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ, যা সাধারণত যৌনবাহিত সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে এবং এর ফলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

  • এক্টোপিক প্রেগনেন্সি (Ectopic Pregnancy): যদি কোনো নারীর গর্ভধারণ জরায়ু ছাড়া অন্য কোনো স্থানে (যেমন ডিম্বনালীতে) হয়, তবে তা তলপেটে তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত জরুরি অবস্থা এবং এর জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

অন্যান্য কারণসমূহ:

  • মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI): মূত্রনালীর সংক্রমণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে, যা সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়ার সাথে থাকে।

  • কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে ব্যথা কোমর থেকে পেটের বাম পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS): এটি অন্ত্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করে।

  • হার্নিয়া: পেটের পেশীর দুর্বল স্থানে কোনো অঙ্গ ধাক্কা দিলে হার্নিয়া হয়, যার কারণে তলপেটে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া দেখা যায়।

যদি ব্যথা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় বা এর সাথে জ্বর, বমি, অস্বাভাবিক রক্তপাত, বা মাথা ঘোরার মতো অন্যান্য গুরুতর উপসর্গ থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তিনি ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে সহায়তা করতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন