বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের জনক কে

 বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের জনক কে


বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের জনক হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

তিনি হলেন একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। গরিব মানুষদের সহজ শর্তে ছোট অঙ্কের ঋণ দেওয়ার এই ধারণাটি তিনি শুরু করেছিলেন, যা পরে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনের একটি সফল মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়।


ক্ষুদ্র ঋণের পেছনের গল্প

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর ড. ইউনূস অনুভব করেন যে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ১৯৭৬ সালে তিনি তার নিজ গ্রাম চট্টগ্রামের জোবরাতে মাত্র ৪২ জন নারীকে ২৭ ডলার ঋণ দেন। এই ঋণের উদ্দেশ্য ছিল, তারা যেন কোনো মহাজনের কাছে উচ্চ সুদে ঋণ না নিয়ে নিজেরাই ব্যবসা শুরু করতে পারে। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়, যা পরে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে।

২০০৬ সালে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের জনক হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

তিনি হলেন একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তার মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষকে জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়ে তাদের আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলা।

১৯৭৬ সালে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করেন এবং ১৯৭৯ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। এই ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ড. ইউনূসের এই ক্ষুদ্র ঋণের মডেলটি সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয় এবং এর স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

Post a Comment

أحدث أقدم