মেয়েদের গোপনাঙ্গের চুল কাটার হাদিস
ইসলামে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও পরিশীলিততাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাকে আরবিতে 'ফিতরা' (Fitra) বলা হয়। গোপনাঙ্গের চুল পরিষ্কার করা এই 'ফিতরা'-এর একটি অংশ।
এই বিষয়ে বেশ কিছু সহিহ হাদিস রয়েছে। এর মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত হাদিস নিচে দেওয়া হলো:
হাদিস
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
"পাঁচটি বিষয় ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত: খৎনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা এবং গোঁফ ছোট করা।"
(সহিহ বুখারী, হাদিস: ৫৮৮৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৭)
আরেকটি বর্ণনায় এসেছে,
"দশটি বিষয় ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত: গোঁফ ছোট করা, দাড়ি লম্বা করা, মেসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙুলের ভাঁজ ধৌত করা, বগলের লোম উপড়ানো, নাভির নিচের লোম মুণ্ডন করা, এবং ইস্তিঞ্জা (প্রস্রাব-পায়খানার পর পানি ব্যবহার) করা। একজন বর্ণনাকারী বলেন, আমি দশমটি ভুলে গিয়েছি, তবে সম্ভবত সেটি কুলি করা।"
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬১)
হাদিসের ব্যাখ্যা
এই হাদিসগুলোতে 'নাভির নিচের লোম মুণ্ডন করা' বা 'ইস্তিহদাদ'-এর কথা বলা হয়েছে। এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
শরীরের এই লোম পরিষ্কার করার জন্য মুণ্ডন করা বা কামানো সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি। তবে এর পাশাপাশি উপড়ে ফেলা, ছেঁটে ফেলা বা লোমনাশক ক্রিম ব্যবহার করাও জায়েজ। মূল উদ্দেশ্য হলো পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।
এই পরিচ্ছন্নতার কাজটি ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে ফেলে রাখা অনুচিত। সহিহ মুসলিমের একটি হাদিসে আনাস (রাঃ) বলেন, "রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের জন্য গোঁফ কাটা, নখ কাটা, বগলের লোম উপড়ানো এবং নাভির নিচের লোম মুণ্ডন করার জন্য চল্লিশ রাতের বেশি সময় অপেক্ষা না করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৮)
এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায় যে, গোপনাঙ্গের লোম পরিষ্কার রাখা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরিহার্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন