মেয়েদের উচ্চতা অনুযায়ী বুকের মাপ

 মেয়েদের উচ্চতা অনুযায়ী বুকের মাপ


মেয়েদের উচ্চতার সাথে সরাসরি বুকের মাপের কোনো নির্দিষ্ট "আদর্শ" চার্ট নেই, কারণ বুকের মাপ বিভিন্ন শারীরিক গঠন, ওজন, বয়স এবং জেনেটিক্স-এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তবে, সঠিক ব্রা সাইজ নির্ণয়ের জন্য বুকের মাপ অত্যন্ত জরুরি


কেন উচ্চতার সাথে বুকের মাপ সরাসরি জড়িত নয়?

  • শারীরিক গঠন: লম্বা বা খাটো সব উচ্চতার মহিলাদের মধ্যেই বিভিন্ন আকারের বুক থাকতে পারে। একজন খাটো মেয়ের যেমন বড় ব্রেস্ট থাকতে পারে, তেমনই একজন লম্বা মেয়ের ছোট ব্রেস্ট থাকতে পারে।

  • ওজন: শরীরের ওজন বাড়লে বা কমলে বুকের মাপও প্রভাবিত হতে পারে।

  • বংশগত কারণ: বুকের আকার অনেক সময় বংশগতভাবে নির্ধারিত হয়।

  • বয়স ও হরমোন: বয়সের সাথে সাথে এবং হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও বুকের আকার পরিবর্তিত হতে পারে (যেমন গর্ভাবস্থা বা মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময়)।


সঠিক ব্রা সাইজ মাপার নিয়ম

সঠিক ব্রা সাইজ জানার জন্য দুটো জিনিস মাপা জরুরি: ব্যান্ড সাইজ (বুকের নিচের অংশের পরিধি) এবং কাপ সাইজ (ব্রেস্টের সর্বোচ্চ স্ফীত অংশের পরিধি)।

১. ব্যান্ড সাইজ (Band Size) মাপার নিয়ম:

  • একটি নন-প্যাডেড, আরামদায়ক ব্রা পরুন।

  • মেজারমেন্ট টেপ দিয়ে আপনার ব্রেস্টের ঠিক নিচে, অর্থাৎ বুকের খাঁচার চারপাশে টেপটি ধরুন।

  • টেপটি খুব বেশি টাইট বা খুব বেশি ঢিলা না করে শরীর বরাবর রাখুন।

  • যে মাপটি পাবেন, সেটি নোট করুন।

    • যদি মাপটি জোড় সংখ্যা (যেমন ৩২ ইঞ্চি) আসে, তাহলে এর সাথে ৪ ইঞ্চি যোগ করুন।

    • যদি মাপটি বেজোড় সংখ্যা (যেমন ২৯ ইঞ্চি) আসে, তাহলে এর সাথে ৫ ইঞ্চি যোগ করুন।

  • যোগ করার পর যে সংখ্যাটি আসবে, সেটিই আপনার ব্যান্ড সাইজ। (যেমন: ২৯ ইঞ্চি + ৫ ইঞ্চি = ৩৪ ইঞ্চি)।

২. কাপ সাইজ (Cup Size) মাপার নিয়ম:

  • মেজারমেন্ট টেপ দিয়ে ব্রেস্টের সবচেয়ে স্ফীত অংশে (অর্থাৎ নিপল বরাবর) টেপটি ঘুরিয়ে মাপ নিন।

  • এই মাপটি থেকে আপনার ব্যান্ড সাইজের মাপটি বিয়োগ করুন।

  • বিয়োগফল অনুযায়ী আপনার কাপ সাইজ নির্ধারিত হবে:

    • ১ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ A

    • ২ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ B

    • ৩ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ C

    • ৪ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ D

    • ৫ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ DD বা E

    • ৬ ইঞ্চি পার্থক্য = কাপ DDD বা F

      (এটি আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, অন্যান্য দেশে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।)

উদাহরণ:

যদি আপনার ব্যান্ড সাইজ ৩৪ ইঞ্চি হয় এবং ব্রেস্টের স্ফীত অংশের মাপ ৩৭ ইঞ্চি হয়, তাহলে পার্থক্য হলো ৩ ইঞ্চি (৩৭-৩৪ = ৩)। এই ক্ষেত্রে আপনার সঠিক ব্রা সাইজ হবে ৩৪C।


গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

  • প্রতি ৬ মাস থেকে ১ বছর পর পর আপনার ব্রা সাইজ মেপে দেখা উচিত, কারণ শরীরের ওজন বা অন্যান্য কারণে মাপের পরিবর্তন হতে পারে।

  • অনেক মহিলা ভুল মাপের ব্রা পরেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সঠিক মাপের ব্রা পরলে আরাম হয় এবং বুকের সঠিক সাপোর্ট পাওয়া যায়।

আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন