উল্কা বৃষ্টি কাকে বলে , ulka bristi kake bole , উল্কা বৃষ্টি, উল্কা বৃষ্টি কবে হবে, উল্কা বৃষ্টি কি, উল্কা বৃষ্টি ভিডিও, উল্কা বৃষ্টির খবর, উল্কা বৃষ্টি দেখতে কেমন, উল্কা বৃষ্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশে উল্কা বৃষ্টি, উল্কা বৃষ্টি লাইভ ,
উল্কা বৃষ্টি হলো এক ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা। যখন পৃথিবীর কক্ষপথে কোনো ধূমকেতু বা গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ (যেমন পাথর, ধুলো) প্রবেশ করে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে, তখন রাতের আকাশে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। মনে হয় যেন আকাশ থেকে অসংখ্য তারা খসে পড়ছে বা বৃষ্টির মতো আলো ঝরছে। এই ঘটনাকেই উল্কা বৃষ্টি বলা হয়।
উল্কা বৃষ্টির কারণ হলো:
* **ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ:** মহাকাশে যখন কোনো ধূমকেতু সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন তা গরম হয়ে বরফ ও গ্যাস নির্গত করে। এর সঙ্গে ছোট পাথর ও ধুলোও ছড়িয়ে পড়ে। ধূমকেতু যখন তার কক্ষপথে ফিরে যায়, তখন এই ধ্বংসাবশেষ তার পথে ছড়িয়ে থাকে।
* **পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ:** পৃথিবী যখন তার বার্ষিক গতির পথে এই ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সেই কণাগুলো পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে আকৃষ্ট হয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।
* **বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষ:** পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় এই কণাগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিতে (প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) বাতাসের কণার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষের ফলে কণাগুলো উত্তপ্ত হয়ে জ্বলে ওঠে এবং আলোর সৃষ্টি করে।
উল্কা বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য:
* উল্কাগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে ছড়াতে দেখা যায়। এই বিন্দুটিকে উল্কাবর্ষণের **উৎসস্থল** (radiant) বলা হয়।
* বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট তারামণ্ডলের কাছাকাছি এই ঘটনা বেশি দেখা যায়, কারণ পৃথিবী সেই সময় ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি আসে।
* উল্কা বৃষ্টির তীব্রতা বিভিন্ন হতে পারে। কখনো অল্প সংখ্যক উল্কা দেখা যায়, আবার কখনো ঘণ্টায় শত শত বা এমনকি হাজার হাজার উল্কাও দেখা যেতে পারে, যাকে **উল্কা ঝড়** বলা হয়।
আশা করি, উল্কা বৃষ্টি সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন