বৃষ্টি কোথা থেকে আসে , বৃষ্টির পানি কোথা থেকে আসে , বৃষ্টির পানি কোথায় থেকে আসে ,

 


বৃষ্টি কোথা থেকে আসে  , বৃষ্টির পানি কোথা থেকে আসে , বৃষ্টির পানি কোথায় থেকে আসে , 


বৃষ্টি মূলত **পানিচক্র** নামক একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ থেকে বৃষ্টি আসে:


১. **বাষ্পীভবন (Evaporation):** সূর্যতাপের প্রভাবে পৃথিবী পৃষ্ঠের নদ-নদী, খাল-বিল, সমুদ্র এবং অন্যান্য জলাশয় থেকে পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। গাছপালা থেকেও বাষ্পীভবন (transpiration) এর মাধ্যমে জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়।


২. **ঘনীভবন (Condensation):** এই জলীয় বাষ্প হালকা হওয়ায় উপরে উঠে যায়। বায়ুমণ্ডলের উচ্চতায় তাপমাত্রা কম থাকে, তাই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা ও ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণা বা বরফের স্ফটিকে পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো একত্রিত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে।


৩. **বৃষ্টিপাত (Precipitation):** মেঘের মধ্যে পানির কণা বা বরফের স্ফটিকগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্রমশ বড় ও ভারী হতে থাকে। যখন এই কণাগুলো এত ভারী হয়ে যায় যে বায়ুমণ্ডল তাদের আর ধরে রাখতে পারে না, তখন তারা মাধ্যাকর্ষণের টানে বৃষ্টি, তুষার, শিলাবৃষ্টি বা কুয়াশা আকারে পৃথিবীর পৃষ্ঠে ঝরে পড়ে।


সংক্ষেপে, বৃষ্টি আসে বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প থেকে, যা সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠের পানি থেকে উৎপন্ন হয় এবং পরে ঠান্ডা হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন