মেয়ে উদ্যোক্তা :
মেয়ে উদ্যোক্তা বলতে সেইসব নারীদের বোঝায় যারা নিজেরাই কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করেন এবং তা সফলভাবে পরিচালনা করেন। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে এবং তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের বর্তমান চিত্র:
- বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)-এর ৭.৮ শতাংশের মালিকানা নারীদের হাতে।
- এই নারী উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছেন এবং দেশের জিডিপিতে প্রায় ২৫ শতাংশ অবদান রাখছেন।
- ঐতিহ্যবাহী খাত যেমন হস্তশিল্প, পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে প্রযুক্তি এবং অন্যান্য আধুনিক ব্যবসায়ও নারীরা তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্ব প্রমাণ করছেন। 50% ছাড়ে: ছেলেদের মেয়েদের লি- ঙ্গ ২ ইঞ্চি মোটা বড় করার কন -ডম কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন
নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কারণ:
- তাদের মধ্যে রয়েছে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ঝুঁকি নেওয়ার সাহস।
- নতুন কিছু শেখা ও প্রয়োগ করার মানসিকতা তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে সফল করে তোলে।
- অনেক নারী উদ্যোক্তা সামাজিক বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন।
নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ:
- আর্থিক সহায়তা : মূলধন সংগ্রহ এবং ঋণ প্রাপ্তিতে নারীরা প্রায়শই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। সম্পত্তির অভাব এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ দিতে দ্বিধা বোধ করে।
- সামাজিক বাধা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ব্যবসার ক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। পরিবার এবং সমাজের অনেকেই তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে সহজে মেনে নিতে চান না।
- জ্ঞান ও দক্ষতা : অনেক নারী উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার অভাব থাকে।
- বাজার সংযোগ : পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং নতুন বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
- পারিবারিক চাপ : ব্যবসা এবং পরিবারের দায়িত্ব একসাথে সামলানো অনেক নারী উদ্যোক্তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ :
- বাংলাদেশ সরকার নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেমন - জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এবং জাতীয় নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতি।
- বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই) এর মতো বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, বাজার সংযোগ এবং আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে।
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
- কিছু ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করছে (যেমন ইবিএল মুক্তি)।
কিছু সফল নারী উদ্যোক্তা :
- বিবি রাসেল (ফ্যাশন ডিজাইনার)
- তাসলিমা মিজি (সিইও, টেকনোভা)
- আইভি হক রাসেল (প্রতিষ্ঠাতা, মায়া লিমিটেড)
- সেলিনা আহমেদ (সভাপতি, বিডব্লিউসিসিআই)
- লুনা শামসুদ্দোহা (প্রয়াত চেয়ারম্যান, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক)
নারী উদ্যোক্তারা কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাদের উত্থান নারীর ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।
"মেয়ে উদ্যোক্তা" একটি বাংলা শব্দবন্ধ যা সেই নারীদের বোঝায় যারা নিজেরাই ব্যবসা শুরু করেন এবং চালান। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে এবং তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। 50% ছাড়ে: ম্যাজিক ক-নড-ম বাংলাদেশি কন-ডম মেয়েদের কন-ডম দেখতে কিনতে ক্লিক করুন - এক্ষুনি কিনুন
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের বর্তমান চিত্র :
- বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭.৮ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শিল্প (এসএমই) রয়েছে, যার মধ্যে ৭.৮ শতাংশের মালিক নারী উদ্যোক্তা।
- এই নারী উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছেন এবং দেশের মোট জিডিপিতে প্রায় ২৫ শতাংশ অবদান রাখছেন।
- সরকারের বিভিন্ন নীতি ও সহায়ক পরিবেশের কারণে নারী উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন - ফ্যাশন, হস্তশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কৃষিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন।
নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ :
তবে, নারী উদ্যোক্তাদের এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, যেমন:
- অর্থায়নের অভাব : মূলধন এবং ঋণের ক্ষেত্রে নারীরা প্রায়শই বৈষম্যের শিকার হন। জামানতের অভাব এবং ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতা তাদের জন্য একটি বড় বাধা।
- সামাজিক বাধা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সামাজিক নিয়ম ও প্রত্যাশা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পারিবারিক দায়িত্ব এবং পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি প্রায়শই প্রয়োজন হয়।
- প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানের অভাব : অনেক নারী উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার অভাব রয়েছে।
- বাজারের অভাব : নেটওয়ার্কিং এবং বাজারের সুযোগের অভাবের কারণে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে অসুবিধা হয়।
- অবকাঠামোগত সমস্যা : দুর্বল অবকাঠামো, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন সমস্যাও তাদের ব্যবসার প্রসারে বাধা সৃষ্টি করে।
সহায়ক সংস্থা ও উদ্যোগ :
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের সহায়তা করার জন্য কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে:
- বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই) : এটি বাংলাদেশের প্রথম নারী চেম্বার যা নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে।
- উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) : এই ফোরামটি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে তারা নিজেদের ব্যবসার প্রসার এবং উন্নয়নের জন্য আলোচনা ও সহযোগিতা করতে পারে।
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট সেল : এই সংস্থাটি নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।
- এছাড়াও, বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ schemes এবং সহায়তা প্রদান করছে।
নারী উদ্যোক্তারা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করছেন।
সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের সকলের উচিত নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশি সহায়তা করা, যাতে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন